রংপুরের বদরগঞ্জে ইরি-বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠলেও কৃষকরা বেশি শ্রমিক লাগিয়ে ক্ষেতের ধান কেটে নিরাপদে ঘরে তুলছে।প্রতি বছরে এসময় ইরি-বোরো ধান কাটা শুরু হলে বদরগঞ্জ উপজেলায় তৈরি হয় এক উৎসবমুখর পরিবেশ। এ সময় কৃষিকাজের পাশাপাশি দেখা যায় পারস্পরিক সহানুভূতি, সহযোগিতা ও সামাজিক সম্প্রীতির অনন্য চিত্র।'
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে ক্ষেতে বাম্পার ফলন হলেও উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলতে ঝড়–বৃষ্টির আশংকায় রয়েছেন কৃষকরা। প্রচণ্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে ফসল ঘরে তোলার কাজ করছেন তারা। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন অনেকে।'
উপজেলা দামোদরপুর ইউনিয়নের আমরুল বাড়ি মৌলভীপাড়া গ্রামের কৃষক মোক্তার হোসেন জানান, ইরি ধান কাটা পুরোদমে শুরু হয়েছে। তিন চারদিন আগে বৃষ্টি ও বাতাস হওয়ায় প্রায় সব জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে তাই ধান কাটতে অনেক বেশি সময় লাগছে।'
কৃষক সাদিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমাদের দামোদপুর ইউনিয়নে শ্রমিকরা একটু বেশি টাকা নিচ্ছেন।এ ইউনিয়নে ৬০শতকে বিঘা এক বিঘা' ইরি-বোরো ধান কাটতে ছয় হাজার টাকা নিচ্ছে শ্রমিকরা।'
উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের পাকের মাতার কৃষক তরুণ কান্তি রায় বলেন, আমাদের উপজেলায় মিনিকেট, বিড়ি ২৮, বিড়ি ২৯, বিড়ি ৭৪, বিড়ি ৮১,বিড়ি ৮৮সহ বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। বর্তমানে মধুপুর ইউনিয়নে পুরো মাঠজুড়ে ইরি-বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এবারে ইরি-বোরো ধান চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে।'
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় মোট ১৬ হাজার ৪ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ইরি-বোরো ধান আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনূকূলে থাকায় ফলনও খুব ভাল হয়েছে। বৃষ্টি না হলে এবারে ইরি-বোরো ধান চাষে লাভবান হতে পারবেন কৃষকরা।'