মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আতাহার ইকবাল দাদুল ও পুলিশ সদস্যের ওপর হামলার পর গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে ধলঘাটা ইউনিয়নের বুড়ীর পাড়া ও পানিরছড়া দুই গ্রাম।
গত বুধবার ইউনিয়নের সুতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিচার কার্যক্রম শেষ করে সন্ধ্যার সময় ধলঘাটা মুহুরীঘোনা বাচ্চু এলাকায় পৌঁছা মাত্রই স্থানীয় সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চু বাহিনীর লোকজন চেয়ারম্যান দাদুলের উপর হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ এস,আই রাইটন দেব সঙ্গীয় পুলিশ সহ দাদুল চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা পুলিশের ওপর চড়া হয়ে স্বশস্ত্র হামলা করে।
এই সময় তারা এস আই রাইটন দেব সহ এক পুলিশ সদস্যকে মেরে আহত করে। সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখান থেকে আহত চেয়ারম্যান ও পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে রাতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার হাসপাতালে ভর্তি করান সেখানে চিকিৎসার অবনতি হলে গতকাল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ বাদী হয়ে এ সল্ট মামলা করেছে।
এঘটনাকে ঘিরে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মুলত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করায় তার উপর চড়া হয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত বাচ্চু বাহিনীর ৪ সদস্যকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃতরা হল, স্থানীয় সাগর, সাদ্দাম, জিয়াবুল, শাহেদ হাসান।
মহেশখালী থানার ওসি মোহাম্মদ কাইছার হামিদ বলেন, হামলার ঘটনায় ১৫ মে বৃহস্পতিবার মাতারবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রাইটন দেব বাদী হয়ে মামলা করে। এতে কলিম উল্লাহকে প্রধান আসামী করে ১৮ জনের নাম উল্লেখ সহ ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তারা ওই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আর নিরীহ কোনো মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না।