রংপুরের বদরগঞ্জে ব্রি-ধান ১০১ জাতের ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেল তিনটায় পৌর শহরের ফেসকিপাড়া গ্রামে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন এন্টারপ্রেনরশিপ এন্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) কৃষক তাজরুল ইসলামের জমিতে পরিদর্শন করেন উপ-পরিচালক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বদরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ, এসএএও'র আরিফুল ইসলাম, পৌর শহরের কৃষক তাজরুল ইসলাম, বেলাল মিয়া, অহিদুল হকসহ পৌর শহরের প্রায় ১০০ জন কৃষক।
এ সময় উপ-পরিচালক বলেন, উন্নত জাতের ব্রিধান ১০১ ধান চাষ করে কৃষকরা অনেক লাভবান হবেন। ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন ধানে নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করব।উচ্চ ফলনশীল (ইনব্রিড) জাতটি হাইব্রিড ধানের মতোই ফলন দিয়েছে। লম্বা ও চিকন জাতের এই ধানের ভাত ঝরঝরে ও খেতে সুস্বাদু। ব্রি-২৮ জাতের বিকল্প হিসেবে ব্রি-১০১ আবাদ করা যাবে। ব্রি-২৮ জাতের তুলনায় হেক্টরপ্রতি ১ দশমিক ৭৫ টন থেকে ২ দশমিক ৫০ টন বেশি ফলন পেয়ে কৃষকরা লাভবান হবেন।কৃষকরা এই ধান আবাদ করে পরবর্তী বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রদর্শনী প্লটে ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকরা আগামী বছর এই জাতের ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কৃষক তাজরুল ইসলাম বলেন,এই ধানের ফলন হাইব্রিড ধানের মতোই। কিন্তু চাষাবাদে হাইব্রিড ধানের তুলনায় খরচ কম। তাই আগামী বছর আমি এই ধানের আবাদ করব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিনা আফরোজ বলেন, ব্রি-১০১ জাতের ধান চিকন ধানে নতুন আশা জাগিয়েছে। এই ধান খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে।আমরা কৃষককে এই ধান চাষে উৎসাহিত করব। এই ধানের আবাদ সম্প্রসারিত হলে দেশের কৃষক ও কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে।