চার দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নেমেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে দুই দিন ধরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন তারা। এ অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কাকরাইল মসজিদ ও মুসল্লিগন, যা তাবলিগ-জামাতের অন্যতম ঐতিহাসিক মসজিদ হিসেবে পরিচিত।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কাকরাইল মোড়সংলগ্ন এই মসজিদেই শিক্ষার্থীরা প্রতি ওয়াক্তের নামাজ আদায় করছেন এবং এখান থেকেই পান করছেন খাবার ও পানি। সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে দুপুর ও রাতের খাবার পাচ্ছেন মাত্র ৪০ টাকার বিনিময়ে।
অবস্থানরত এক শিক্ষার্থী ফয়সাল কামাল বলেন, "অবস্থানের কারণে আমরা খাবার ও পানি সবই সহজেই এই মসজিদ থেকে পাচ্ছি, তারাও আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদের কাছে আমরা জবি শিক্ষার্থীরা চিরকৃতজ্ঞ থাকব।"
আরেক আন্দোলনকারী আপন হাওলাদার জানান, "এখানে কাছাকাছি কোনো খাবারের দোকান নেই। বিশ্রাম নেয়ার যথাযথ স্থান নেই। তবে এই মসজিদ ও মুসল্লিদের সর্বাত্মক সহযোগিতায় সহজেই প্রয়োজন মেটাতে পারছি।"
প্রতিবেশী এলাকা কাকরাইল মোড়ে তেমন কোনো খাবারের দোকান কিংবা পাবলিক টয়লেট না থাকায় শিক্ষার্থীদের জন্য কাকরাইল মসজিদই হয়ে উঠেছে প্রধান সহায়ক স্থান। নামাজ, ওযু, বিশ্রাম, এমনকি খাওয়ার জন্যও তারা নির্ভর করছেন এই মসজিদের উপর।
জানা যায়, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবারের বিল পরিশোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. তাজাম্মুল হক।
শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলনের সঙ্গে এক অনন্য সংহতি গড়ে তুলেছে কাকরাইল মসজিদ, যা ধর্মীয় স্থাপনার মানবিক দিককেই নতুন করে তুলে ধরেছে।