'লং মার্চ টু যমুনা' কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান, কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ, আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজী মারুফসহ অন্যান্য সদস্য ও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “শান্তিপূর্ণ লংমার্চে পুলিশ হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে। এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো দুঃখপ্রকাশ বা বিবৃতি আসেনি। আমাদের শিক্ষকদের লাঞ্ছনা করা হয়েছে—এটি মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এসব ঘটনার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।”
দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান কায়েস বলেন, “জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক দাবিতে সেখানে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর সর্বোচ্চ বিচার দাবি করি। ডিবি কার্যালয়ে হুসাইনকে ২৬ ঘণ্টা আটক রাখা হয়েছে—এটি এক ধরনের গুম, যারও বিচার চাই।”
কার্যকরী সদস্য ওমর ফারুক শ্রাবণ বলেন, “আন্তর্জাতিক নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার সংক্রান্ত চুক্তির ১৯ ও ২১ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। অথচ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ বর্বর হামলা চালিয়েছে। আমরা এর ন্যায়বিচার চাই।”
নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “আমাদের শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে, যা স্পষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। উপদেষ্টার সঙ্গে যেটা হয়েছে, তা নিন্দনীয়। কিন্তু যে ছেলেটিকে গুম করে রাখা হয়েছে, সেটা ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত রূপ। আমরা এই সংস্কৃতি চালু হতে দেব না।”