দীর্ঘসময় পায়ে ফুটবল নাচিয়ে তাক লাগাচ্ছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিসান (১০)। জাদুকরেরা মুগ্ধ করে সবাইকে। তাঁর অনন্যশৈলী মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখে সবাইকে। কিন্তু ফুটবল খেলার জাদুকর? খেলার দুনিয়ায় এমন অনেক ‘জাদুকর’ আছেন, যাঁরা নিজেদের ক্রীড়াশৈলীতে তাঁদের নিয়ে গেছেন জাদুকরের পর্যায়ে।
ফুটবলের ‘জাদুকর’ বলতেই প্রথমে চোখে ভাসে ম্যারাডোনা-পেলের নাম। হালের মেসি কিংবা রোনালদোরাও নিজেদের ফুটবলীয় কারিশমায় জাদুকরের মর্যাদা পেয়েছেন। তবে যাদুকর না হলেও পায়ে ফুটবল নাচিয়ে তাক লাগাচ্ছে ৫ ম শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থী দশ বছর বয়সী জিসান৷ পায়ে দীর্ঘসময় ফুটবল নাচানো দেখে এলাকাবাসীর নিকট ক্ষুদে ম্যারাডোনা হিসেবে পরিচিতি তার৷
কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে জিসান৷ স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি স্কুলের ৫ ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর ফুটবল নৈপুণ্যে মুগ্ধ সবাই। ফুটবল যেনো পা থেকে পড়তেই চায়না। এক পায়েই টানা দীর্ঘক্ষণ ফুটবল নাচাচ্ছে স্কুল পড়ুয়া। দেখে মনে হবে ফুটবল তার কথা শুনছে। একিসাথে পিঠি বল রেখে কাপড় খোলে অনায়াসে আবার পড়তেও পারে সে। আর এই ভাবেই পায়ে ফুটবল নাচিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এলাকায়। ভাল ফুটবল খেলতে পারে। ফুটবল খেলার পাশাপাশি শুরু করে ফুটবল জাগলিং। এই ফুটবল জাগলিং করেই রিতীমত তাক লাগাচ্ছে সবাইকে।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজাম মিয়া, জয়নাল ও জয়েদুল ইসলাম বলেন, ছেলেটির পায়ে যেভাবে দীর্ঘ সময় ফুটবল রাখতে পারে এটি বিস্ময়। আমরা এর আগে এমনটা দেখিনি কখনো৷ ভালো প্রশিক্ষণ পেলে তার প্রতিভা বিকশিত করতে পারবে৷ এটাকে কাজে লাগাতে সরকারি দৃষ্টি প্রয়োজন৷
স্কুল শিক্ষার্থী জিসান জানায়, ছোটবেলা থেকেই ফুটবল খেলা নেশা তার। মোবাইলে ম্যারাডোনার খেলা দেখে অনুপ্রেরণা পেয়েছে জিসান৷ পড়াশোনার সঙ্গে এটাই ধ্যান-জ্ঞান হয়ে দাঁড়িয়েছে জিসানের। নিজের নেই ফুটবল এজন্য পাশের বাড়ি থেকে ধার করে খেলতে হচ্ছে৷ খেলার পোশাক জুতা পেলে অনেক ভালো লাগবে বলে জিসান জানায়৷
জালালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, আমি জানতামই না আমার এলাকায় এমন প্রতিভা রয়েছে৷ আমার পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে সবরকম সহায়তা ও প্রতিভা কাজে লাগাতে কাজ করবো।
এ বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মাইদুল ইসলাম বলেন, ''আপনার থেকেই বিষয়টি জানতে পারলাম৷ এ বিষয়ে সকল ধরনের সহায়তা করা হবে জিসানকে। তাকে ফুটবল দিচ্ছি এবং কিভাবে তার প্রতিভা আরো তুলে ধরা যায় এটা নিয়ে আমরা কাজ করবো৷'