শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় নদ-নদীর তীরবর্তী মানুষের মাঝে বন্যার পাশাপাশি ভাঙ্গন আতঙ্ক দেখা গেছে। বন্যার পানি লোকালয়ে প্রবেশ করা এবং শত-শত ঘরবাড়িসহ কৃষি জমির মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ঝিনাইগাতীতে গত কয়েকদিনের প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহারশি নদীতে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে বয়ে আসা পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হলে বন্যা থেকে আশংকামুক্ত হলেও নদীর তীরবর্তীতে বসবাসরত জনসাধারণ বন্যা আতংকে দিনাপাত করছেন।
গত বছর ভয়াবহ বন্যায় নদীর পূর্ব পাশে বাঁধ ভেঙে উপজেলাবাসীর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ওই ক্ষতি থেকে এখনও মানুষ পুষিয়ে নিতে পারে নাই আবারও বন্যা আসার আতংকে দিনাপাত করছে জনসাধারণ। নতুন করে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে দায়সারা ভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ ধীরগতি ও নিন্মমানের এবং অসমাপ্ত হওয়ার ফলে এলাকায় চলছে বন্যার আতংক।
গত কয়েকদিনের প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে অনেক জায়গায় পানি জলবদ্ধতা দেখা দেওয়ার ফলে জনসাধারণের চলাফেরার ব্যাপক বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম রাসেল বৃষ্টিকে উপেক্ষো করে এলাকা পরিদর্শন করেছেন। সেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে বন্যা মোকাবেলা করার জন্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগাম প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।