× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা জামায়াত বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

মানবিক সেবার জায়গায় অমানবিক আচারণ

মোহাম্মদ জামশেদ আলম,সীতাকুণ্ড(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি :

২০ মে ২০২৫, ২০:৪৮ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের অন্যতম সমাজ সেবা কার্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর রয়েছে আনাগোনা। তাই রাষ্ট্রিয় সুবিধা পাওয়ার আশায় ভীড় জমান স্থানীয় দপ্তরে। আর সেবা দুয়ারে এসে নানা রকমের হয়রানিতে পড়তে হচ্ছে সেবা গ্রহিতাদের। এছাড়া সেবা প্রদানে আগ্রহ না দেখিয়ে সেবা গ্রহিতাদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা সমাজসেবা অফিসার লুৎফুন নেছা সেবা গ্রহীতা এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তি বর্গের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক রূঢ় আচরণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, উক্ত কর্মকর্তা অফিসে আগত সেবা গ্রহীতা প্রবীন, নারী-পুরুষ সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তথা রূঢ় আচরণ করেন এবং সেবাপ্রদান প্রক্রিয়াকে ইচ্ছাকৃতভাবে জটিল করে তুলেন।

সৈয়দপুরের সেবা গ্রহীতা সবিতা রানী বয়ষ্ক ভাতা এবং অজিবা খাতুন বিধবা ভাতার জন্য আবেদন করেন, কিন্তু সবিতা রানী অসুস্থ্য থাকায় এবং অজিবা খাতুন এর ছেলে বউ মারা যাওয়ায় তারা স্ব-শরীরে যাচাই কার্যক্রমে উপস্থিত হতে পারেন নাই। তাদের পক্ষে তাদের ভাতার আবেদনগুলি নিয়ে সৈয়দপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা তার রুমে প্রবেশ করে তাকে অনুরোধ করেন, যাচাই কার্যক্রমটি সম্পন্ন করার জন্য, কিন্তু তিনি দাম্ভিকতার সুরে বলেন, সেবা গ্রহিতাকে আমার সামনে আসতে হবে ! তিনি এও বলেন টিএনও সাহেব বল্লেও আমি তা মানবনা জানান। এ বিষয়ে উক্ত বিএনপি নেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এর সত্যতা স্বিকার করে বলেন, এমন উদ্ধত্ত্ব আচরণ দেখে আমি হতবাক।
 
সেবাপ্রার্থীদের অভিযোগ, উক্ত অফিসার সব সময় রূঢ় আচরণ করেন। সেবা নিতে আসা প্রবীণ, নারী-পুরুষ ও প্রতিবন্ধী কেউই বাদ যাচ্ছেন না তার এ দুর্ব্যবহারের হাত থেকে। এ বিষয়ে এক সমাজকর্মী বলেন, “আমরা সমাজসেবা অফিসকে মানুষের উপকারের কেন্দ্র হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু বর্তমান বাস্তবতায় এটি যেন হয়রানি তথা দূব্যবহারের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে”। সৈয়দপুরের স্থানীয় এক রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিনিধি বলেন, “জনসাধারণের পক্ষ থেকে সেবা নিশ্চিত করতে গেলে আমাদের উক্ত অফিসারের রূঢ় আচরণ সহ্য করতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক ও হতাশাজনক”।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, উক্ত অফিসার বিগত ২০১৮ সাল থেকে প্রায় ৭ বছর যাবৎ সীতাকুণ্ড উপজেলায় কর্মরত আছেন। সরকারের বদলী নিতিমালা অনুযায়ী একজন অফিসার এক কর্মস্থলে ২-৩ বছরের বেশী থাকতে পারেন না। কিন্তু লুৎফুন নেছা কি করে দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ একই কর্মস্থলে রয়েছেন ? তার এমন রূঢ় আচরনের খুটির জোরই-বা কোথায় ?

সরকারি অফিসার জনগণের সেবক হিসেবে নিয়োজিত। তাই তাদের আচরণ হতে হবে সৌজন্যপূর্ণ, পেশাদার এবং সহানুভূতিশীল। এ ধরনের অভিযোগ শুধু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, একটি প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতার উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.