সীতাকুন্ডে সদ্বীপ চ্যানেলে ইলিশ সংরক্ষনে ৫৮দিন সমূদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে মতবিনিময়, চাল বিতরন, অভিযান, বাজার পর্যবেক্ষন, প্রচারনাসহ নানা কর্মসূচী গ্রহনের উদ্যোগ নেয়া হয়। নির্দেশনা বাস্তবায়নে কার্যকারীতা না থাকায় হাট-ঘাট ও আড়ত সামুদ্রিক মাছে ভরপুর হয়ে উঠেছে।
সমূদ্রে ইলিশ সংরক্ষনে চট্টগ্রাম-সদ্বীপ চ্যানেলে ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন সমূদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মৎস অধিদপ্তর। এ সময় নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া সভা-সেমিনার, প্রচার-প্রচারনায় মাছ ধরা, বিক্রি ও মজুদ রোধে জেলেদের সচেতন করে তুলতে হবে। আর সেই নির্দেশনা মোতাবেক বন্ধের প্রথম দিনে ডাক-ঢোল পিটিয়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের জোরোলো ঘোষনা দেয়া হয়। কিন্তু দিন যত বাড়ে, ততই হাক-ডাক ঝিমিয়ে পড়ে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে ভূমিকা না রেখেও কৃতিত্ব লুফে নিতে মৎস কর্মকর্তারা ব্যস্ত হয়ে উঠেন বলে জানান নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তারা।
তারা বলেন,‘সমূদ্রে মাছ ধরা বন্ধ কার্যকরে মৎস দপ্তর পদক্ষেপ গ্রহনে উদাসীন। সকল দায়-দায়ীত্ব নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের উপর চাপিয়ে দিয়ে কৃতিত্বটা নিয়ে নেয় মৎস দপ্তর। এই মাছ ধরা বন্ধ কার্যকরে অভিযান পরিচালনায় বিশেষ বরাদ্ধ দেয়া হয়। অথচ সমূদ্র হতে জাল জব্ধে গুরুত্বপূর্ন দায়ীত্ব পালন করেও নূন্যতম আর্থিক সহায়তা দেয়া হয় না তাদের।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞা জারী থাকাবস্থায় বাজারে ও আড়তে মাছের মজুদে কমতি নেই। আড়তদাররাও মাছ মজুদ রেখে ক্রেতাদের থেকে অধিক মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে। তাই বন্ধেও বাজারে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান। গোপনে আতাঁত করে আইন প্রয়োগ থেকে বিরত থাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বলেন, ‘কোস্ট গার্ড ও নৌ পুলিশ সার্বক্ষনিক তৎপরতা চালাচ্ছে। নিয়ম মাফিক টহলে থাকাবস্থায় জাল উদ্ধার করার পর ধ্বংশ করছে। এ সময় অভিযুক্তদের জেল-জরিমানর আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি।