আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে খামারিদের মাঝে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় খামারিরা তাদের গরু-ছাগল কোরবানির জন্য প্রস্তুতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। প্রায় ১ হাজার পশু কোরবানির গবাদিপশু প্রস্তুত করছেন আসন্ন কোরবানির জন্য খামারিরা ৷
যদিও পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে, তবুও ভালো লাভের আশা করছেন খামারিরা। পাশাপাশি, ভারতীয় গরুর আমদানিকে কেন্দ্র করে রয়েছে তাদের বাড়তি উদ্বেগ।
খামারিরা মনে করছেন, ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ হলে দেশীয় গরুর চাহিদা ও দাম উভয়ই বাড়বে, যা তাদের জন্য লাভজনক হবে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খামারে সরেজমিনে দেখা গেছে, কোরবানির বাজারকে ঘিরে খামারিরা গরুর পরিচর্যা ও প্রাকৃতিক খাদ্য— যেমন খৈল, কুটা, খাস ও দানাদার খাদ্য দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রতিবারের মতো এবারও স্থানীয় বাজারে গরু বিক্রির আশায় খামারিরা এই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সারমিন এগ্রো ডেইরী খামারির মালিক কামরুল ইসলাম বলেন, দেশীয় খাবার দিয়েই গরু মোটাতাজা করছি। যদিও এবার পশু খাদ্যের দাম বেশি, তবুও আশা করছি ভালো দাম পাব।
মা ডেইরী খামারির মালিক নুরে আলম জানান,পশুর পরিচর্যায় খরচ ও শ্রমিকদের মজুরি বেড়েছে। তবে ভারতীয় গরু আমদানি বন্ধ না হলে তারা ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শ্যামল চন্দ্র দাস বলছেন এবার মতলব উত্তর উপজেলায় গরু রয়েছে চাহিদার তুলনায় কম। ২৬০টি খামারে ষাড় ২হাজার ২০টি,বলদ ৯১০টি,গাভী ৬৯৪টি,মহিষ ৬টি ,ছাগল ৯৩০টি, ভেড়া ১১৭টি, মোট ৪ হাজার ৮০৩টি পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করছেন খামারিরা৷ কিন্তু কোরবানির জন্য গরুর চাহিদা রয়েছে ৫ হাজার ৪২০টিরও বেশী৷
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন,এ বছর কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত গরু খামরিদের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করছি। যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আর সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে, দেশীয় খাবার খাইয়ে কোরবানীর পশু প্রস্তুতের জন্য খামারিদের কে পরামর্শ দিয়ে আসছি এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করে গরু মোটাতাজাকরণ যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং করছি।
তিনি বলেন, খামারে আমাদের মনিটরিং টিম কাজ করছে। এবারের ঈদেও প্রতিটি পশুর হাটে ভেটেনারি টিম বসানো হবে, যাতে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার বা রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি করতে না পারেন।