জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার, ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং আবাসন সংকট নিরসনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (২১ মে ২০২৫) বেলা ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যাল (চবি) এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারের কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে উক্ত স্মারকলিপি প্রদান করে ইনকিলাব মঞ্চ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নেত্রী বৃন্দ।
স্মারকলিপিতে জুলাই অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শহিদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা, গবেষণা ও শিক্ষার মান বজায় রাখতে ৪ দফা দাবি পেশ করে।
স্মারকলিপিতে আরও উল্লেখ করে বলেন, "আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর দীর্ঘ সময় অতিক্রম করলেও এই আন্দোলনের পূর্ণ মর্যাদা ও শহীদদের সম্মান নিশ্চিত হয়নি। শহীদদের নামে ভবন ও হলের নামকরণ ছাড়া আর কোনো কার্যকর উদ্যোগ পরিলক্ষিত হয়নি। তদুপরি, এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুপস্থিত, আবাসন সংকট চরমে, এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচারের দাবি উপেক্ষিত হয়ে আসছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে ইনকিলাব মঞ্চ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করছি।"
চবি ইনকিলাব মঞ্চ স্মারকলিপিতে নিম্ন বর্ণিত চার দফা দাবি উপাচার্য বরাবর উপস্থাপন করে।
১. জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করতে হবে।
২. আওয়ামী শাসনামলে ও জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্যাতনকারী শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে।
৩. আবাসন সংকট নিরসনের জন্য কার্যকর রোড ম্যাপ প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট হারে ভাতা প্রদান করতে হবে।
৪. জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম আকাঙ্খা সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চায় নিয়মিত ছাত্র সংসদ চালু করতে হবে।
উল্লেখ্য, ইনকিলাব মঞ্চ জুলাই কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। যা, সমস্ত আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের লক্ষ্যে গঠিত।