তথ্যসূত্রে জানা যায়, উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের দিঘলকান্দি গ্রামের মৃত আবুল হোসেন মন্ডল এর ছেলে রাকিব আলী গত ১৫ মার্চ ২০২৫ তারিখ বেলা ১২ টার দিকে মাদিয়া গ্রামে জৈনক মকবুল হোসেনের বাড়ির পাশে বড় বট গাছের নিচে তাহার ব্যবহৃত সিলভার-ব্লু কালারের টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটরসাইকেল রেখে জমি পরিমাপ করতে মাঠে গেলে রাকিবের অনুপস্থিতিতে যুবদল নেতা সোহাগের নেতৃত্বে ও উপস্থিতিতে ঐ এলাকার অন্যান্য চিহ্নিত চোর ও ছিনতাই চক্রের সদস্য জোগনুর জামান সুইট, নবীর , আলম ও নবীরের দুই ভাস্তে এক ছেলে সহ অজ্ঞাত আট-দশ জন মিলে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে ছিনতাই এর উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলের কাছে দাড়িয়ে থাকা ভুক্তভোগী রাকিবের চাচাতো ভাইয়ের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে এমন অবস্থায় রাকিবের চাচাতো ভাইয়ের চিৎকারে রাকিব এগিয়ে আসলে যুবদল নেতা সোহাগের নির্দেশনায় চোর চক্রের সদস্যদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাকিবের পকেটে থাকা ৪৫ হাজার টাকা, ও রাকিবের চাচাতো ভাইয়ের স্কিন টাচ মোবাইল ছিনতাই করে নেয়।
পরবর্তীতে রাকিবের ব্যবহৃত ব্লু কালারের টিভিএস মেট্রো প্লাস মোটরসাইকেলটির চাবি সুইট ও ছিনতাইকারী চক্রের অন্যতম সদস্য নবীর সহ অন্যান্য সদস্যরা নিয়ে নিতে চাইলে রাকিব সেখান থেকে পুলিশ বলে চিৎকার দিয়ে কৌশলে সরে যাই।
এরপর সুইট, মোটরসাইকেলটির চাবি না পেয়ে ঘাড় লক ভেঙ্গে মোটরসাইকেল টি ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায় যুবদল নেতা সোহাগের পার্টি অফিসে। এরপর সোহাগের কথা অনুযায়ী মোটরসাইকেলটি সেখানেই রেখে দেওয়া হয় এবং সুযোগ বুঝে ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়া রাকিবের মোটরসাইকেল টি বিক্রি করে যুবদল নেতা সোহাগ সহ সোহাগের অন্যান্য অনুসারীরা টাকা ভাগ্যটোয়ারা করে নেয়।
এ ঘটনার কিছুদিন পরে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে দেবে মর্মে যুবদল নেতা সোহাগ লোক মারফত রাকিবের কাছে ত্রিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এবং সেই ত্রিশ হাজার টাকা কৌশলে যুবদল নেতা সোহাগের নেতৃত্বে আলম নিয়ে নেয় উপজেলার এক বিএনপি নেতার সহায়তায়।
এঘটনায় রাকিব আলী বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা চেষ্টা ও ছিনতাই এর বিবরণ দিয়ে একটি মামলা দায়ের করছেন।
উল্লেখ্য দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যে হারে চুরি ও ছিনতাই বেড়ে গেছে তার অধিকাংশ চুরি ও ছিনতাই যুবদল নেতা সোহাগ সহ তার এই চক্রটি করছে বলে জানিয়েছেন এলাকার একাধিক ব্যাক্তি।
এবং আর একজন চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের ঐ এলাকার সেকেন্ডইন্ড কমান্ড এলাকায় তাকে অনেকেই আলম খবিশ বা আলম চোর হিসেবে চেনে। আলম চোর দীর্ঘদিন জাসদ গন বাহিনীর সাথে থেকে নানা ধরনের অপকর্ম করে ৫ তারিখ পরবর্তী সময়ে নিজেকে এলাকায় বিএনপির বড় নেতা হিসেবে পরিচয় দিয়ে অন্যান্য চোর ও ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের সাথে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে চুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি সহ নানা ধরনের অপকর্ম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, যুবদল নেতা সোহাগের নেতৃত্বে চোর ও ছিনতাইকারী সিন্ডিকেটের কাছে পিয়ারপুর ইউনিয়নবাসী সহ মাদিয়া গ্রামের লোকজন বড় অসহায় তাদেরকে কেউ কিছু বলতে গেলেই প্রতিবাদকারীদের উপরে নেমে আসে অসহনীয় নির্যাতন। তাই এলাকাবাসীর দাবি সঠিক আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এই ধরনের চোর ও ছিনতাইকারী দের কঠোর শাস্তি প্রদান করা হোক।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী রাকিব আলী বলেন, যুবদল নেতা সোহাগ আমার মোটরসাইকেল ছিনতাই করার পর নানা ভাবে আমাকে হয়রানি করে চলেছে। এ বিষয়টি উপজেলা বিএনপি'র বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের জানানোর পরেও মোটরসাইকেলটি ফেরত দেয়নি সোহাগ সহ তার অনুসারীরা, উল্টো বিভিন্ন সময় মোটরসাইকেল ফিরিয়ে দেবে বলে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে তারা। এ বিষয়ে থানায় মামলা হলেও মোটরসাইকেলটি উদ্ধারে পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোন উদ্যোগ আমাদের চোখে পড়েনি।
এদিকে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে ক্লু পেলে মোটরসাইকেল উদ্ধার করব।