বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট পারমিট (ইএক্সপি) জটিলতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার (২১মে) ভারতে মাছ রপ্তানী বন্ধ থাকার পর আজ ২২মে বৃহস্পতিবার পুনরায় মাছ রপ্তানী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া বলেন, দিল্লীর এনিম্যাল কোয়ারেন্টাইন থেকে আমাদেরকে মাছ রপ্তানীর পারমিট দেয়। ওই পারমিট আসতে দেরি হওয়ায় বুধবার মাছ রপ্তানী বন্ধ ছিল।
আখাউড়া স্থল বন্দরের সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ১০টি গাড়িতে করে প্রায় ৭০ টন হিমায়িত মাছ আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে। তার আগে সকাল থেকে ৩টি ট্রাকে করে ৯০ টন পাথর ও ৬টি ট্রাকে করে ১০৬ টন ভোজ্যতেল ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় রপ্তানি হয়েছে। গত বুধবার এক্সপোর্ট পারমিট (ইএক্সপি) জটিলতায় মাছ ব্যাতিত সিমেন্ট ও ভোজ্যতেল রপ্তানি হয়েছে।
এদিকে ভারত সরকার হঠাৎ করে বাংলাদেশ থেকে স্থলপথে ছয়টি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতমুখী রপ্তানি বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বন্দর দিয়ে ভারতে ৪২৭ কোটি ৮৮ লাখ ৭২ হাজার ৪৩০ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়। আর চলতি অর্থবছরে গত এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানি হয় ৪৫৩ কোটি ১ লাখ ৯৬ হাজার ৭৯৩ টাকার পণ্য। রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে হিমায়িত মাছ, রড, সিমেন্ট, প্লাস্টিক, ভোজ্য তেল, তুলা, প্রক্রিয়াজাত খাবার, মেলামাইন সামগ্রী ও শুঁটকি।
স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, হিমায়িত মাছের পর সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় প্লাস্টিক পণ্য, পিভিসিসামগ্রী, চিপস, বিস্কু, ফলের স্বাদযুক্ত জুস ও তুলা। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৪৫ লাখ টাকা মূল্যের এসব পণ্য রপ্তানি হয় ভারতে। ফলে এ পণ্যগুলো আমদানি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ায় রপ্তানি বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।