লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি ইউনিয়নের বড়বাড়ি ফজলুল হক দাখিল মাদ্রাসা এখন চরম অব্যবস্থাপনা ও নানা অনিয়মে জর্জরিত। প্রতিষ্ঠানটিতে নেই প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, নেই স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ, এমনকি শিক্ষার্থীদের জন্য রযেছে টয়লেট সংকট।
জানা গেছে, ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে জেলা পরিষদ থেকে ৩ লক্ষ টাকা মাদ্রাসার উন্নয়ন কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোনো কাজই বাস্তবায়ন হয়নি। জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষ, ফাটল ধরা দেয়াল আর অব্যবস্থাপনার মধ্যেই চলছে পাঠদান।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, মাদ্রাসার সুপার নিয়োগ বাণিজ্যসহ ভর্তি প্রক্রিয়ায়ও নানা অনিয়মে জড়িত। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ভর্তি নেওয়ার সময় বয়স বেশি দেখিয়ে নানা অজুহাতে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হয়। সেই সঙ্গে ব্যাচ, টাই ও সেশন ফি নামে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভর্তির সময় আমাদের বলা হয় বয়সে সমস্যা আছে। পরে টাকা দিলে ভর্তি করে নেয়।ষষ্ঠ শ্রেণির ৫৫ জন শিক্ষার্থীর কাছে ব্যাচ, টাই এসবের জন্যও জন প্রতি ৫শত টাকা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সাবেক সহকারী শিক্ষক গোলাম সরোয়ার জানান, আমি এসব অনিয়মের প্রতিবাদ করায় দুই বছর ধরে আমার বেতন বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা একটি চরম অন্যায়। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
এ অবস্থায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং এলাকাবাসী দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা সুপার হোসেন আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন আমি এমন কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নই।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনোনীত দাস বলেন,উক্ত অভিযোগ তদন্ত করার জন্য প্রশাসন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।উক্ত বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিজানুর রহমান মিজান