আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য মানিক ও রতন নামে ২টি গরু প্রস্তুত করছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রবাস ফেরত মো: জাহাঙ্গীর মিয়া।
বাবা ও ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের ভালোবাসায় পালিত হওয়া ২টি ষাঁড়ে মধ্যে মানিকের বয়স ৩ বছর রতনের বয়স আড়াই বছর। শাহী আওয়াল ও ফ্রিজিয়ামের ক্রস মানিক ওজনে প্রায় ১০০০ কেজি(২৫মণ) এবং ফ্রিজিয়াম জাতের রতন ৮০০ কেজি(২০ মণ)।
রবিবার(২৫মে) সকালে গরুর মালিক জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর গেল ২০১৩ সাল থেকে গরু পালন শুরু করি। প্রতিবছর ২-৩ টি উন্নত জাতের বড় গরু কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করি। এবছরও মানিক-রতন নামে দুইটি গরু পালন করেছি। গরু গুলো আমাদের পালিত গাভির বাচ্চা। একটি তিন বছর আরেকটি আড়াই বছর ধরে আমরা লালন পালন করছি। বিশালাকৃতির এ গরু দুইটি এবারের কোরবানির ঈদে বিক্রির চিন্তা ভাবনা করছি।
তিনি আরও বলেন, আমি গরু গুলোকে ফিড বা কোন ভেজাল খাদ্য খাওয়ায় নি। গরুগুলোকে কে গমের ভুসি, ভূট্টার গুড়ি, ডাবলির ভুসি, সয়াবিনের ভুসি, ছোলা বুট আর ভূট্টা ভাঙা খাওয়ানো হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রবাস ফেরত জাহাঙ্গীর মিয়া আরো বলেন, এ গরুগুলোকে খুব যত্ন করে লালনপালন করেছি। সবসময় এটা ফ্যানের নিচে থাকে। রাতে ঘুমানোর সময় মশারি দেওয়া হয় এবং প্রতিদিন দুই বেলা গোসল করানো হয়। প্রায় ২৫ মণ ওজনের মানিকের দাম হাকা হয়েছে ৭লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ২০ মণ ওজনের রতনের দাম ৬ লক্ষ টাকা। তবে দাম নিয়ে কথা বলা যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জাহাঙ্গীর মিয়ার প্রতিবেশীরা জানায়, জাহাঙ্গীর মিয়া প্রবাস থেকে এসে শখের বসে গরু লালন পালন করছে। গ্রামের বাড়ির আলোবাতাসে মানিক ও রতন নামে গরু গুলো বড় হয়েছে। আমরা প্রায়ই তার বাড়িতে আসলে মানিক রতনকে দেখি। জাহাঙ্গীর গরু গুলোর প্রতি খুব যত্নশীল। আমরা চায় গরু গুলো বিক্রি করে সে ন্যায্য মূল্য পাক।
এদিকে মানিক ও রতন কে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। গরুগুলোকে এক নজর দেখতে জাহাঙ্গীর মিয়ার বাড়িতে প্রতিদিন মানুষের ভিড় বাড়ছে।