× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

প্রাকৃতিক উপায়ে কোরবানির গরু প্রস্তুতে ব্যস্ত সীতাকুণ্ডের খামারিরা

মোহাম্মদ জামশেদ আলম,সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি।

২৫ মে ২০২৫, ১৬:৩৮ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলায় খামারিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন কোরবানির উপযোগী গরু মোটা-তাজা ও পরিচর্যায়। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু প্রস্তুত করছেন তারা, যেখানে কোনো প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য কিংবা ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার নেই।

দেশি জাতের গরুর পাশাপাশি সিন্ধি, শাহিওয়াল, ব্রাহ্মা, অস্ট্রেলিয়ান ও বুট্টিসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের পশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ১,২৯৭টি খামারে চলতি মৌসুমে গবাদিপশু প্রস্তুত হচ্ছে কোরবানির জন্য।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার। এর বিপরীতে বর্তমানে প্রস্তুত রয়েছে প্রায় ৫৬ হাজার পশু। যদিও প্রায় ১৯ হাজার পশুর ঘাটতি রয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা—আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে।

সরাসরি খামার পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ‘এলাইড এগ্রো’ খামারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। খামারটির স্বত্বাধিকারী মো. নুরুল আজম জানান, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরামর্শে রাসায়নিক বা হরমোনের ব্যবহার পরিহার করে শুধু খড়, কাঁচাঘাস, খৈল, ডালের ভুসি, কুড়া এবং প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ৮০টি গরু মোটা-তাজা করেছেন। তার মধ্যে ৬টি গরু আছে যার প্রতিটির বিক্রয় মূল ৩লক্ষ থেকে সাড়ে ৪লক্ষ টাকা। প্রতিটি গরুর ওজন প্রায় ১৭ থেকে ২০ মণ।

তিনি বলেন, “ভারত বা অন্য দেশ থেকে গরু না এলে কোরবানির হাটে এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। প্রতিদিন ক্রেতারা গরু দেখতে আসছেন এবং প্রতিদিনই এক-দুটি করে বিক্রি হচ্ছে। এবার প্রায় ১০-১৫লক্ষ টাকা লাভ হবে বলে ধারণা করছি।”

২০২১ সালে শখের বসে স্বল্প পরিসরে খামারটি শুরু করলেও এখন সেটির পরিসর তিন একর জমিতে বিস্তৃত। খামারে বর্তমানে ৩০টি গাভী রয়েছে, যেগুলো থেকে প্রতিদিন ২০০–২৫০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। রয়েছে একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট, যেখান থেকে ৫০টি পরিবারে জ্বালানির সংযোগ দেওয়া হয়েছে। খামারে ১০ জন কর্মী কর্মরত রয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কল্লোল বড়ুয়া জানান, “সীতাকুণ্ডে এবার কোরবানির পশু বিক্রয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার লেনদেন হতে পারে। গরু মোটা-তাজাকরণে খামারিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে যাতে তারা প্রাকৃতিক উপায়ে পশু প্রস্তুত করেন।” তিনি আরও বলেন, “স্টেরয়েড, পাম ট্যাবলেট, ডেক্সামেথাসনের মতো ক্ষতিকর রাসায়নিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। এসব ব্যবহারে পশু যেমন ফুলে-ফেঁপে ওঠে, তেমনি মাংস খেলে মানুষের কিডনি, লিভার ও হৃদযন্ত্রের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। কেউ এ ধরনের কাজ করলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।”

চট্টগ্রাম শহরের পাশে হওয়ায় সীতাকুণ্ডে পশুর চাহিদা প্রতি বছরই বেশি থাকে। প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করছেন, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা জেলাসহ উত্তরাঞ্চল থেকে পশু আমদানি হলে ঘাটতি আর থাকবে না।

বাজার স্থিতিশীল থাকলে খামারিরা ভালো দামে গরু বিক্রি করতে পারবেন এবং চামড়ার ন্যায্য মূল্য পাওয়া গেলে তারা আরও লাভবান হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

যোগযোগ- ০১৮১৪৩৩৩৬৯৯, ম্যানেজার, এলাইড এগ্রো, মুরাদপুর, সীতাকুণ্ড।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.