চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে কৃষি ও খামার ব্যবস্থাপনায় টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা যুব উন্নয়ন দপ্তর। এবার থেকে খামারিরা বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের জন্য এ দপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তিগত সহায়তা, পরামর্শ ও আর্থিক ঋন পাবেন।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্থানীয় খামারিদের উৎসাহিত করতে ও জ্বালানির বিকল্প উৎস তৈরির লক্ষ্যে এ প্রযুক্তিগত সহযোগিতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে খামারভিত্তিক জৈব বর্জ্য ব্যবহার করে রান্নার গ্যাস, বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সার তৈরির কার্যক্রম আরও জনপ্রিয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “যেসব খামারিরা দুগ্ধ, গরু বা ছাগলের খামার করছেন, তারা এখন চাইলে সরকারি প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের খামারে বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারবেন। আমরা তাদের প্রযুক্তিগত নকশা, গঠন, নির্মাণ ও ব্যবহার সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করব”। বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে যুব উন্নয়ন দপ্তর ৫৫ হাজার টাকা এবং খামার সম্প্রসারনে ২লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক ঋন সহায়তাও করছে।
যুব উন্নয়নের এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত ইন্জি. উম্মি মারমা বলেন, সীতাকুণ্ডে আমরা এ পর্যন্ত ৫টি বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে প্রযুক্তিগত সকল সহায়তা প্রদান করেছি। আরো ১টি প্লান্ট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ উদ্যোগের ফলে একদিকে যেমন খামারিরা নিজেদের উৎপাদিত জৈববর্জ্যকে কাজে লাগাতে পারবেন, অন্যদিকে গৃহস্থালি ও খামার পরিচালনায় জ্বালানি খরচ কমিয়ে লাভজনক কৃষি কার্যক্রম গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
স্থানীয় খামারিরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। মুরাদপুরের ”এলাইড এগ্রো” খামারের মালিক মো. নুরুল আজম বলেন, “আমি ইতোমধ্যে একটি বায়োগ্যাস প্লান্ট করেছি, যা থেকে ৫০টি পরিবারে গ্যাস সরবরাহ দিচ্ছি। এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে গেলে অনেক খামারিই আর্থিক ভাবে লাভবান হবেন।”
উল্লেখ্য, পরিবেশবান্ধব ও খরচ সাশ্রয়ী এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে সীতাকুণ্ডের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সংশ্লিষ্টরা।