চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বশত নগর গ্রামে নির্মিত রাবার ড্যামটি এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০০৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন প্রায় সাড়ে ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে শিবপুর ছোটকুমিরা খালে নির্মিত এই ড্যামটি বর্তমানে আশেপাশের একাধিক গ্রামের কৃষিকাজে বড় ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে।
সম্প্রতি বিশাল বাজেট ব্যয়ে খালটি পুনঃখনন করা হলেও রাবার ড্যামের সরু পানি নিঃস্বরণ পথের কারণে বর্ষা মৌসুমে পানি আটকে গিয়ে পুরো ১০ কিলোমিটার এলাকায় প্লাবনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে করে শিবপুর, মুরাদপুর, ইদিলপুর, কেদারখিল, সৈয়দপুরসহ আশেপাশের গ্রামের হাজার হাজার একর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, “আমাদের জমিগুলোতে এখন আর আগের মতো চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। পানি আটকে থাকার কারনে”। এ অবস্থায় দ্রুত সমাধানের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই রাবার ড্যামের পাশে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা না হলে পুরো খালখনন উদ্দেশ্যটিই ব্যর্থ হবে।
স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর জানান, খালপথে পানি নিঃস্বরণের সমস্যাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনি এলজিইডি প্রকৌশলী আলমগীর বাদশাকে ঘটনাস্থলে পাঠান। ২৮ মে (বুধবার) সকাল ১১টায় প্রকৌশলী সরেজমিনে খালটি পরিদর্শন করেন।
প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড অনেক আগেই এই রাবার ড্যাম নির্মাণ করেছে। একসময় এখানে কৃষকদের একটি সমিতি ছিল। সেই সমিতি আবার সক্রিয় করা গেলে হয়তো কিছু করা সম্ভব হত। তবে আমরা খালের পানি চলাচলের সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে দেখব।”
কৃষকরা মনে করেন, দায়িত্বশীল সংস্থার অবহেলা ও অপরিকল্পিত অবকাঠামো এখন তাদের কৃষিকাজে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এই অঞ্চলের কৃষি উৎপাদন দীর্ঘমেয়াদে হুমকির মুখে পড়বে।