চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাচন অফিসে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিনের অনিয়মিত উপস্থিতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ জনগণ। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সপ্তাহে মাত্র একদিন অফিসে উপস্থিত থাকেন তাও অনিয়মিত, বাকি সময় থাকেন চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ নির্বাচন অফিসে।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি ও তথ্য হালনাগাদসহ জরুরি সেবা নিতে গিয়ে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন।
এক ভুক্তভোগী জানান, “সকাল ৯টায় এসে দুপুর পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অফিসারকে পাইনি। বলা হলো, তিনি সপ্তাহে একদিন আসেন মাত্র।”
প্রবাসী এক নাগরিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীর জন্য এক সপ্তাহের ছুটিতে দেশে এসেছি। নির্বাচন কর্মকর্তার অনুপস্থিতির কারণে কাজটি সম্পন্ন না করেই বিদেশে ফিরে যেতে হয়েছে। এতে আমি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, “সীতাকুণ্ড আমার অতিরিক্ত দায়িত্বের অফিস। আমি সপ্তাহে একদিন অফিস করি। এর বাইরে করার কিছু নেই। চাইলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলুন স্থায়ী অফিসার দেয়ার জন্য।”
জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপ- আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, জসিম উদ্দিন সীতাকুণ্ডে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। অফিসার স্বল্পতার কারণে এখনই স্থায়ী নিয়োগ সম্ভব নয়। তবে চেষ্টা চলছে একজন স্থায়ী কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়ার। ততদিন অন্তত সপ্তাহে দুইদিন অফিসে উপস্থিত থাকার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তাঁরা।
জসিম উদ্দিন অতিরিক্ত দায়িত্ব ভাতা পান কিনা জানতে চাইলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, তিনি কোনো ভাতা পাচ্ছেন না। তবে উপ আঞ্চলিক কর্মকর্তা জানান, তিনি ভাতা পাচ্ছেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, “এভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা বন্ধ হয়ে থাকতে পারে না। দ্রুত স্থায়ী নিয়োগ বা সাপ্তাহিক কার্যদিবস নির্ধারণ করে জনগণের ভোগান্তি লাঘব করতে হবে।”
সীতাকুণ্ডের জনগণ বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।