সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় সার বছরই সব ধরণের সবজী ফসলের আবাদ হচ্ছে। রতনদিয়ার ও চর বর্ধনগাছা মাঠে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে নানা সবজী ফসলের আবাদ করা হয়। এখন নানা সবজী ফসলের আবাদে রতনদিয়ার সবজী ফসলের মাঠ পরিচিতি পেয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জানা গেছে এবারের মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৪০ হেক্টরে পটল , বেগুন ৫৫হেক্টরে ও ৪৫ হেক্টরে মিষ্টি কুমড়া আবাদ হয়েছে। কয়ড়া ইউনিয়নের পাশাপাশি রতনদিয়ার ও চর বর্ধনগাছা মাঠে সবচেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে নানা সবজী ফসলের আবাদ করা হয়ে আসছে। এখন মাঠে বেগুন , পটলের আবাদ হচ্ছে।
উপজেলার কয়ড়া ইউনিয়নের চর বর্ধনগাছা গ্রামের কৃষক মানিক চাদ শেখ রতনদিয়ার মাঠে এবারে প্রায় দেড় বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছেন। প্রতিবেদককে তার ছেলে রাকিবুল হাসান বলেন একই মাঠে নিজেদের জমিতে প্রায় আট বছর ধরে মৌসুমকালে বেগুন ফসলের আবাদ করে আসছেন। এর আবাদে খাটুনি বেশী ও বেশ পরিচর্যা করতে হয়।বেগুন ফসলের আবাদ করে ফি বছর তারা অনেক টাকা আয় করেন। এবারের মৌসুমে প্রথম দিন প্রায় ৯০ কেজি বেগুন তুলে এলাকার বাজারে ছয়শো টাকা মণ দরে বেচেছেন বলে জানান।
এদিকে রতনদিয়ার ও চর বর্ধনগাছা মাঠ দুটি থেকে প্রতিদিন শত শত মণ পটল তুলে কৃষকেরা এলাকার হাট বাজারে ও আড়তে পাইকারী দরে বেচছেন। রতনদিয়ার পাকা সড়কের পাশে পাইকারী পটল কেনাবেচা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সুবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন,উল্লাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আবাদী মাঠে এখন বলতে সারা বছর সব ধরণের সবজী ফসলের আবাদ হয়। গ্রামের উঠোন আঙ্গিনায় অনেক পরিবারের গৃহবধূরা সবজী ফসলের আবাদ করেন। এতে পারিবারিক পুষ্টি চাহিদা মেটে। মৌসুমকালে মোহনপুর , বড়পাঙ্গাসী , উধুনিয়া , কয়ড়া ইউনিয়ন এলাকায় খিড়া ফসলের আবাদ করা হয়। কয়ড়া ইউনিয়নের রতনদিয়ার ও চর বর্ধনগাছা গ্রামের মাঠে সব ধরণের সবজী ফসলের আবাদ বেশী পরিমাণ জমিতে করা হয়। এখন রতনদিয়ার ও চর বর্ধনগাছা মাঠে পটল ও বেগুন ফসল আছে। উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ মাঠ পর্যায়ে কৃষকদেরকে সবজী ফসলের আবাদে উৎসাহ আর দরকারী পরামর্শ দেন। তিনি নিজেও ওই বøকের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজেসবজী ফসলের আবাদি জমি গিয়ে সব কিছু দেখা আর কৃষকদেরকে ভালো মানের বীজ ও সঠিক সময়ে সঠিকপরিচর্যা করার পরামর্শ দেন।