উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। টানা বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়ায় নদীপাড়ের হাজারো মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড আশ্বস্ত করেছে, এখনই বন্যার কোনো ঝুঁকি নেই। তবুও বাসিন্দাদের মধ্যে, বিশেষ করে নিচু চরাঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
রোববার (১ জুন) তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন,ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক নূরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে তিস্তার পানি বাড়ছে। তাই তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে পানি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,রোববার সকাল ৯ টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫১.৮৬ (অটো গেজ), যা বিপৎসীমার মাত্র ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ১৫ মিটার)।
এদিকে, তিস্তা নদীর পানি বাড়লে আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলগুলো। তিস্তা পাড়ে চর রয়েছে ৭৬টি। এসব এলাকায় অধিকাংশ মানুষ বাস করেন নদীর চর জমিতে। ফলে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব এলাকায় প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরের বাসিন্দা বৃদ্ধ হাসেম আলী বলেন, বন্যা এলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঠের ফসল, গরু-ছাগল, বাড়ির জিনিস সব ভেসে যায়। এবারও ভয়ে আছি।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (৩১মে) রেড অ্যালার্ট জারি করেছে ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি)। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, বৃষ্টিপাত ও নদীতে পানিবৃদ্ধির ফলে সিকিমের মাঙ্গান, গিয়ালশিং ও সোরেং জেলায় বন্যা ও ভূমিধস হতে পারে।
ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদন মতে, গ্যাংটকের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক জরুরি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে বলেছেন, সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতির সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সময়োপযোগী আপডেট বা হালনাগাদ তথ্য প্রদান অব্যাহত রাখবে।