খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগ ও বেতন- বোনাসের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক,কর্মকর্তা- কর্মচারীরা। রবিবার (১ জুন) কুয়েটের দুর্বার বাংলা চত্বরে মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন কুয়েট অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ মঈনুল হক।
এসময় তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধ করার ঘটনা নিয়ে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া ঘটনায় ছাত্র-শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে দুজন ভিসি প্রত্যাহার করা হয়েছে। গত ২১ মে অন্তর্বর্তীকালীন ভিসি প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ হযরত আলী পদত্যাগ করার পর এখন নতুন করে কোন ভিসিকে দায়িত্ব গ্রহণ না করায় চরম জটিলতায় পড়েছেন প্রায় ১২শ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী। ভিসি নিয়োগ অথবা অর্থনৈতিক দায়িত্ব প্রদান করে বেতন বোনাস বিল প্রদানের জটিলতা নিরসন করে ক্যাম্পাসে স্থিতিশীল অবস্থা ফিরিয়ে আনার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রইলো।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ধরনের আর্থিক ক্ষমতা উপাচার্যের হাতে । তার স্বাক্ষর ছাড়া কোনো বিল পাস হয় না। প্রতিমাসে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে তিন শতাধিক শিক্ষক, দুই শতাধিক কর্মকর্তা এবং পাঁচ শতাধিক কর্মচারীর বেতনের বিলে স্বাক্ষর করে থাকেন। কিন্তু অনুপস্থিত এবং পদত্যাগ মিলিয়ে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে উপাচার্য নেই কুয়েটে। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলতি মাসের বেতন, ভাতা, ঈদ উৎসব ভাতা, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমের বিলসহ যাবতীয় ফাইনান্সিয়াল কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সরকার নতুন উপাচার্য নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত এ সমস্যার সুরাহা সম্ভব নয়।
এর আগে,এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে চলছে অচলাবস্থা। পরে শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন ও আমরণ অনশনের প্রেক্ষিতে গত ২৫ এপ্রিল উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ করে সরকার। গত ১ মে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ফেরেননি শিক্ষকরা। ছাত্রদের হাতে শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরবেন না বলে জানায় কুয়েট শিক্ষক সমিতি। এরপর গত বুধবার (২১ মে) ড. মো. হযরত আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।