জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ২ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ জনের ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে উপজেলার মধুপুকুর হাটে এবং সন্ধ্যায় পৌর এলাকার বুড়াইল মোড়ে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসুত্রে জানা যায়, উপজেলার মধুপুকুর কুরবানির হাটে সরকার নির্ধারিত হাসিলের চেয়েও ৩শ থেকে ৪শ টাকা অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হচ্ছিল এমন খবরে হাটে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত। অভিযুক্ত ইজারাদার সুমন খান দোষ স্বীকার করলে ২০০৯ সালের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪০ ধারায় তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর বটতলী-ইটাখোলা সড়কের বুড়াইল মোড়ে মুরগির বিষ্টা'র (লিটার) গুদাম করে রেখে জনসাধারণের দুর্ভোগ, স্বাস্থ্যহানী ও পরিবেশ দূষণের অভিযোগে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৫৩ ধারায় গুদামের মালিক আনিসুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং আগামী ১ মাসের মধ্যে সকল বিষ্টাসহ পুরো গুদাম সরিয়ে ফেলার নির্দেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার পলাশ চন্দ্র, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হারুনুর রশীদ।
এবিষয়ে ক্ষেতলাল উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ আল জিনাত কালবেলাকে বলেন, কুরবানির হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে ইজারদারের ৩০ হাজার টাকা এবং রাস্তার পাশে অবৈধভাবে মুরগির বিষ্টা'র (লিটার) গুদাম করে পরিবেশে দূষণ এবং জনসাধারণকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে এর মালিকের থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। আমাদের এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হবে না।