ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বাবনাতলা এলাকায় বাস ও মাহিন্দ্রা গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলে সহ ৫ নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে আরও ৪ জন।
বুধবার (৪ মে) সকালে মহাসড়কের বাবনাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ভাঙ্গা উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের চৌকিঘাটা গ্রামের লতিফ মাতুব্বরের ছেলে মিজানুর মাতুব্বর (৫০), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ইব্রাহীম সর্দার (৭০) ও তার ছেলে মনির সর্দার (৪০), একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে তারা মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত (৪৫)।
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে নিহতদের সবাই গরুর ব্যবসার সাথে জড়িত। কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে গরু কিনার জন্য তারা একটি থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্রায় চড়ে টেকেরহাট গরুর হাটের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আশা মিজান পরিবহনের একটি বাস ও মাহিন্দ্রা গাড়িটি টেকেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। গাড়ি দুটি বাবলা তলা এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাহিন্দ্রার পাঁচ যাত্রী নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে আরও চারজন। খবর পেয়ে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশ ও ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আবু জাফর গণমাধ্যমকে জানান, মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫২ মিনিটের দিকে বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মাহিন্দ্রাটি ভাঙ্গা থেকে মাদারীপুরের টেকেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। অন্যদিকে বরিশাল থেকে বাসটি ঢাকায় যাচ্ছিল। বাবলাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাহিন্দ্রাটি সড়কে উল্টে দুমড়ে মুছে পড়ে যায়।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের নাদিব বলেন, আজ সকালে বাবনাতলা নামক স্থানে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ৪ জনের মৃত্যু হয় ও হাসপাতালে আনার পর জরুরী বিভাগে আরও একজনের মৃত্য হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ৪ জনকে পাঠানো হয়েছে।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রোকিবুজ্জামান জানান, নিহতদের সবার পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতরা গরু ব্যবসায়ী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। বুধবার টেকেহাট উদ্দেশ্যে তারা গরু কেনার জন্য টেকেরহাটের দিকে যাচ্ছিল। ঘাতক বাসটিকে আটকের জন্য কাজ করছে পুলিশ।