ইমরুল সানার ওপর হামলার প্রতিবাদে কয়রায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন
আবির হোসেন,কয়রা, খুলনা প্রতিনিধি।
১১ জুন ২০২৫, ১৬:৪৩ পিএম
-68495ddf1f544.jpg)
ছবিঃ সংগৃহীত।
খুলনার কয়রা উপজেলায় বিএনপির তাঁতি দল সদস্য ইমরুল সানার ওপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ জুন) সকাল ১১টায় কয়রা বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে বিক্ষোভ মিছিল কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে সমাবেশে রূপ নেয়। এতে কয়রা উপজেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কয়রা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রফিক, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম (আজু), কয়রা থানা তাঁতি দলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, আলী, রবিক সানা, রাসেল আহমেদ, সবুজ, খালিদ হাসান, বারিক সানা সাঈদসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, "ইমরুল সানার ওপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলার আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।"
তারা আরও বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বক্তারা অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী মো. মোশাররফ মোল্যা — যিনি একসময়ের বনদস্যু এবং সম্প্রতি অস্ত্র-সস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করেছেন — তিনি এখনো বিভিন্ন অপরাধে জড়িত। তার বিরুদ্ধে খুলনার কয়রা থানায় সহ বিভিন্ন থানায় ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। তবুও আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এলাকায় দাপটের সঙ্গে বিচরণ করছেন এবং নিরীহ মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছেন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বক্তারা বলেন, রবিবার রাত ০৮টার দিকে ইমরুল সানার ছোট একটি নাপিত দোকানে মোশাররফ মোল্যা ও তার ভাইয়েরা চাঁদা দাবিতে যায়। ইমরুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোশাররফ মোল্যা, তার ভাই মহাসিন, আকরাম, আকবারুল, সাঈদ, শহিদুল এবং মহাসিনের ছেলে হাসন (১৮) — মোট সাতজন মিলে তাকে দোকান থেকে টেনে বের করে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে তারা চাইনিজ কুড়াল ও হাতুড়ি দিয়ে পৈশাচিকভাবে কোপাতে থাকে। ইমরুল সানা অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কয়রা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
ঘটনার পর আহত ইমরুল সানার ছোট ভাই খায়রুল ইসলাম খোকন কয়রা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা এসআই রাজেত আলীকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, "আওয়ামী লীগের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ওপর ধারাবাহিক হামলা চলছেই। এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে জনগণের ক্ষোভ আরও বিস্ফোরিত হবে।"
তারা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
