নাটোরের সিংড়া থেকে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত মৃত নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম শামসুন্নাহার লাকী (৪০)। সে বগুড়ার শেরপুরের সিমলা গ্রামের কৃষক গোলাপ হোসেনের স্ত্রী। বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। পরকীয়ার কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার মূলহোতা রিফাত আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে সিংড়া পৌর শহরের উত্তর দমদমা এলাকার সমিজুল ইসলামের ছেলে। তবে এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই জাকারিয়া বাদী হয়ে সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আটককৃত আরো হলো, মোর্শশেদ (১৬)পিতা আলাউদ্দিন, সোহাগ ( ১৭) পিতা বাবুল বেপারী রিয়াজুল ( ১৮) সবার বাড়ি দক্ষিন দমদমা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ শামসুন্নাহার লাকী গত রোববার বিকেল ৫ টার দিকে স্বামীর বাড়ি বগুড়ার শেরপুরের সিমলা গ্রাম থেকে বাবার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মনোহরপুরের উদ্দেশ্যে বের হন। পরবর্তীতে ওই নারী তার বাবার বাড়িতে না গিয়ে নিখোঁজ হয়। একদিন পর সোমবার দুপুর ২ টায় সিংড়া উপজেলার ফলিয়া ব্রীজের নিচে একটি অজ্ঞাত লাশ পড়ে থাকতে দেখে জনৈক আশরাফুল ইসলাম সুমন নামের এক ব্যক্তি ৯৯৯ এ ফোন দেন। পরে সিংড়া থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। প্রাথমিকভাবে লাশটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় এটা হত্যাকান্ড বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ। পরে মঙ্গলবার গভীর রাতে মোবাইলের সূত্র ধরে আসামীদের সনাক্ত করে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়।
সিংড়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, পরকীয়ার কারণে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার মূলহোতা রিফাত সহ চারজন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।