খুলনার কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নে নিরীহ যুবক ইমরুল সানা-এর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী দোসর ও কুখ্যাত সাবেক বনদস্যু মোশাররফ মোল্যার আপন ভাই অবশেষে জনতার হাতে আটক হয়েছেন।
গত ০৮ জুন, রবিবার, পবিত্র ঈদুল আজহার পরের দিন, কয়রার চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোশাররফ মোল্যাসহ তার পাঁচ ভাই এবং ভাতিজা হাসন মিলে ইমরুল সানাকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনার পর এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করে।
১৩ জুন, শুক্রবার সকাল ১১টায়, ঘটনার সাথে জড়িতদের খোঁজ পেয়ে স্থানীয় জনতা‘রা আটক করে গণধোলাই দেয় এবং পরবর্তীতে তাদেরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন মোশাররফ মোল্যার আপন ভাই আকবারুল মোল্যা, যিনি এই মামলার ০২ নং আসামি।
ইমরুল সানার ওপর হামলার ঘটনায় কয়রা থানায় জি-আর মামলা নং ১৯৮৩(৪)/১ দায়ের হয়েছে। মামলার মোট আসামি ৭ জন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মোশাররফ মোল্যার বিরুদ্ধে কয়রা থানা সহ খুলনার বিভিন্ন আদালতে ১৮টিরও বেশি মামলা রয়েছে। তিনি এবং তার পাঁচ ভাই দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চাঁদাবাজি, রাহাজানি, মারামারি ও খুনখারাপির সাথে জড়িত। আওয়ামী লীগ শাসনামলে তারা সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করেছে এবং সামান্য বিরোধেও অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা রউফ সানা জানান, “ওরা মানুষ হিসেবে কখনো ভালো ছিল না। বহু বছর ধরে অন্যায়ের সাথে জড়িত। বর্তমানে জনতার হাতে গণধোলাই খেয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। আমরা ইমরুল সানার উপর হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
এলাকাবাসীর দাবি, অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে কয়রা উপজেলার মানুষকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে মুক্ত রাখা হোক।