রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলীতে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী খেতুরী ধামে হিন্দু ও আদিবাসী সনাতনী সম্প্রদায়ের মিলনমেলা ও আলোচনা সভায় স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেছে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যান ফ্রন্ট। ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলার পর নিরাপত্তা জনিত কারণে অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজশাহী মাহনগর ও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান সংগঠনটির গোদাগাড়ী উপজেলার কমিটির আহ্বায়ক উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ১৩ জুন প্রায় ১২ হাজার ভক্তদের জন্য মহাপ্রসাদ বিতরণের আয়োজন করা হয়। সেখানে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
অনুষ্ঠানের আগের দিন ১২ জুন দুপুর দুইটার দিকে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সেখানে হামলা করে। তারা মন্দিরে তালা মেরে দিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের কাজ বন্ধ করে দেয়। তারা খেতুরী ধামের ম্যানেজার গোবিন্দ চন্দ্র পাল ও হিন্দু আদিবাসী সনাতনের সদস্য সহদেব কুমার পান্নাকে মারধর করে তাকে মন্দির থেকে বের করে দেয়। এসময় ভয়ে উপস্থিত সকল ভক্ত মন্দির থেকে চলে যায়। ফলে নিরাপত্তা জনিত কারণে হিন্দু ও আদিবাসী সনাতনী সম্প্রদায়ের এই মিলনমেলা অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, এ ঘটনার পর তারা ভৃতসন্তস্ত হয়ে পড়েন। তাই তারা থানায় মামলা করে ঝামেলা বাড়াতে চাইনি। তবে বিষয়টি নিয়ে জেলা বিএনপির কাছে আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি এবং বিচার চেয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, রাজশাহী জেলার সভাপতি শ্রী প্রণয় কুমার দাস (আলোক মাস্টার), বৈষ্ণব সৎ সংঘ গোদাগাড়ী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সহদেব কুমার পান্না, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, গোদাগাড়ী উপজেলার সদস্য মলিন সরদার প্রমুখ।