ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ চত্বরের সামনে দীর্ঘদিন ধরে চলা জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধজনিত সমস্যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে টনক নড়েছে ঝিনাইদহ পৌরসভার। শহরের মর্যাদাপূর্ণ এই এলাকায় পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন, পরিবেশ দূষণ এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ায় পৌরসভা তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
এর আগে, জাতীয় দৈনিক "সংবাদ সারাবেলা" পত্রিকায় “ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের সামনে জলাবদ্ধতা ও দুর্গন্ধে জনদুর্ভোগ চরমে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরা হয়— কিভাবে শহরের এই ঐতিহাসিক স্থাপনা উপেক্ষিত হয়ে পড়েছে এবং নাগরিক সুবিধা না থাকায় সাধারণ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী জানান, "স্মৃতিসৌধের সামনে দিয়ে হাঁটা যায় না। দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যায় না। অথচ এটা শহরের গর্বের জায়গা।"
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনার চত্বরের চারপাশে জমে থাকা পানি, আবর্জনার স্তূপ ও ভাঙা ড্রেন স্থানীয়দের যাতায়াতে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে এলাকা।
সংবাদ প্রকাশের পরপরই ঝিনাইদহ পৌরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। শুরু হয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা সংস্কার, ড্রেন পরিষ্কার।
এ ব্যাপারে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামালউদ্দীন বলেন, “আমরা সংবাদটি পাওয়ার পরপরই এলাকার অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করি এবং জরুরি সংস্কার কাজ হাতে নিই। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটবে।”
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায় সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, “সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় আমরা কৃতজ্ঞ। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ এলাকাটি শহরের মর্যাদা বহন করে। একে পরিচ্ছন্ন, আধুনিক ও চলাচলের উপযোগী রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
তিনি আরও জানান, শুধু তাৎক্ষণিক সংস্কার নয়, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় স্মৃতিসৌধ এলাকার সৌন্দর্যবর্ধন ও রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম চালু রাখা হবে।
স্থানীয়রা পৌরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে তাঁদের প্রত্যাশা, সংস্কার কাজ যেন এককালীন না হয়। নিয়মিত পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।