রাজশাহীতে আলুচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিমাগারের মালিকদের দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে আলুর ভাড়া কেজিতে সাড়ে ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত সোমবার রাজশাহী আর্মি ক্যাম্পে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সবাই জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান। সেখানে ভাড়া নির্ধারণ করে চুক্তি করে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এবং রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি। মঙ্গলবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে নতুন ভাড়ার বিজ্ঞপ্তি সব হিমাগারে প্রচারের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে রাজশাহী কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফজলুর রহমান, রাজশাহী জেলা আলুচাষি ও আলু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি আহাদ আলী, সহসভাপতি আলম আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সেনাবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, দুপক্ষের চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে আলুর ভাড়া নেওয়া হবে কেজিতে সাড়ে ৫ টাকা। প্রতি কেজির জন্য শ্রমিক খরচ নেওয়া যাবে ৫০ পয়সা। আগাম বুকিংয়ে যেসব আলু রাখা হয়েছে, সেগুলো আগের চুক্তি অনুযায়ীই ভাড়া দিতে হবে। আগাম বুকিংয়ের ক্ষেত্রেও কেজিতে ৫০ পয়সা শ্রমিক খরচ নেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, প্রতি কেজি আলু সংরক্ষণের জন্য আগে কৃষকদের ৪ টাকা ভাড়া দিতে হতো। এবার আলু ওঠার সময় ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন আলু বের করতে গেলে কেজিতে ৮ টাকা করে নিতে শুরু করে হিমাগারগুলো। এর প্রতিবাদে তাঁরা বিক্ষোভ করে আসছিলেন।