বান্দরবানের চেক জালিয়াতির মামলায় জেলার এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী মো: শহিদুর ইসলাম (সোহেল) কে তিন মাসের কারাদণ্ড ও সমপরিমান টাকা ফেরত দিতে অর্থদন্ড দিয়েছে যুগ্ম জেলা দায়রা ও জজ আদালত।
গত সোমবার দুপুরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিচারক মো: নুরু মিয়া এই রায় ঘোষণা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বেঞ্জ সহকারী অরুন বিকাশ তালুকাদার।
তিনি জানান, চেক জালিয়াতি মামলায় তিন মাসে কারাদণ্ড ও সমপরিমান অর্থদন্ড দিতে আদালত রায় দিয়েছে।
কারাদণ্ডব্যক্তি মো: শহিদুল ইসলাম (সোহেল), সে পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ডের চেয়ারম্যান পাড়া মো: মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে। সে নবগঠিত এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামী মোহাম্মদ শহিদুর ইসলাম সোহেল ব্যবসার কথা বলে অভিযোগকারী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ কাছ থেকে ২ লক্ষ ১৮ হাজার টাকা ধার নেন। প্রায় দীর্ঘদিন পাড় হলেও নির্দিষ্ট সময়ের টাকা ফেরত না দেয়ায় গেল ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পৌরসভা মার্কেট ভবনে নালিশে বসেন। সেখানে অভিযোগকারীকে ২লক্ষ ১৮হাজার ভূয়া ইউসিবি চেক তুলে দেন আসামী মো: শহিদুল ইসলাম (সোহেল)। পরে আসামীর দেয়ার চেক টানা তিনবার ইসলামী ব্যাংকে জমা দিলে আসামীর ব্যাক্তির ব্যক্তিগত ব্যাংক একাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেকটি বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলায় ২০২৪ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগ করেন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, টাকার ফেরত দেয়ার কথা বলে অভিযোগকারীকে ভুয়া চেক ধরিয়ে দেন আসামী। পরে তিনবার ব্যাংকের চেক জমা না হলে চেক জালিয়াতি মামলায় আসামীকে তিনমাসের কারাদণ্ড রায় দেন আদালত।
মামলা বাদী আ্যডভোকেট খলিল বলেন, টাকা ফেরত না দেয়ায় আসামীকে নিয়ে কয়েকবার নালিশি বৈঠক বসেছিল। শেষ পর্যায়ের এসে ২০২৪ সালে ২৬ সেপ্টেম্বর চেক জালিয়াতি মামলায় আদালতে মামলা দায়ের করেন অভিযোগকারী। গত মাসে ২৬মে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের বিচারক আভিযোগকারীকে সমপরিমাণ অর্থ ফেরত ও ৩ মাসে কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।