রাজধানীর প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম কবি নজরুল সরকারি কলেজ। মাত্র ৩ একর জমির ওপর নির্মিত লাল দালানের কলেজ চত্বরে রয়েছে একটি ছোট মাঠ, যেখানে দিনভর খেলাধুলা ও আড্ডায় মেতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজ মাঠে জমে যায় হাঁটু পানি, ফলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৮ জুন) দুপুরের বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে কলেজ মাঠ। গতকালসহ আরও বেশ কিছুদিন আগে থেকেই মাঠে পানি জমে ছিল, নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা পানির কারণে ডেঙ্গু মশার প্রজননের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
মাঠের বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ এবং দীর্ঘদিন বৃষ্টির পানি জমে থেকে সবুজ শ্যাওলার আবরণ জমেছে মাঠে। পানি নিষ্কাশনের ভালো ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে যায়। কলেজ মাঠের চারপাশে ইট সলিং করা রাস্তা থাকলেও, নেই কোনো পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কিছু কিছু স্থানে পানি না থাকলেও কাদা ও স্যাঁতসেঁতে থাকায় শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা ও চলাফেরায় চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
রোমান নামের এক শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমাদের কলেজের পরিচ্ছন্নকর্মীদের গাফিলতির পাশাপাশি, যারা তাদের পরিচালনা করেন তাদেরও দায় রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য থাকা ড্রেনগুলো ময়লায় ভরে গিয়ে বন্ধ হয়ে আছে। ফলে পানি সরে যেতে দীর্ঘ সময় লাগছে। শুধু বৃষ্টির দিনে নয়, অন্যান্য সময়ও মাঠে ধুলাবালির কারণে যাওয়া যায় না। এসব সমস্যার মূল কারণ হলো পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন না।
দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলা আক্তার বলেন, বৃষ্টির দিনে কলেজ মাঠে দাঁড়ানোর মতো উপযুক্ত কোনো জায়গা থাকে না, পুরো মাঠজুড়ে পানি জমে থাকে। যেখানে পানি নেই, সেখানে কাদায় স্যাঁতসেঁতে হয়ে থাকে। মাঠের চারপাশের রাস্তা থেকে মাঠটি একটু নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। তাছাড়াও, কলেজ মাঠে ঘাস না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় পরিণত হয়, ফলে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়ে।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, অল্প বৃষ্টি হলেই কলেজ মাঠ পানিতে তলিয়ে যায়। মাঠে ও আশেপাশের ড্রেনগুলোতেও দীর্ঘদিন ধরে সে পানি জমে থাকে। এতে ডেঙ্গু মশার প্রজননের ঝুঁকি তৈরি হয়। তাই দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, মাঠের পূর্ব পাশে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে । সে কারণে কিছু মাটি মাঠে রাখা হয়েছে। এখন বর্ষাকাল চলছে, ফলে পানি জমে রাস্তা কিছুটা বন্ধ হয়ে থাকতে পারে। বিষয়টা আমরা দেখছি।