৫ আগস্ট পরবর্তি সময়ে শুধু বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজেদের অন্তকোন্দলে হত্যা হয়েছে ১২৭ জনের উপরে। শুধু কি তাই ? ছাত্রদল বিএনপির মুল দলের লোকের কাছে চাঁদা চেয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় ওই নেতার হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। যাদের কাছে নিজেদের দলের মানুষ নিরাপদ নয়, তাদের কাছে বাংলাদেশের কোন নাগরিক নিরাপদ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন শায়খে চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করিম।
গতকাল শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে রংপুর মহানগর ইসলামী আন্দোলনের বাংলাদেশের আয়োজনে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে অনুষ্ঠি গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, যে দলের কাছে নিজের দলের লোক খুন হয়, সেই দলের কাছে দেশের মানুষ জানমাল নিরাপদ নয়। যারা নিজেরাই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার ঘোষণা দেন, তাদেরে কাছে দেশের আইন নিরাপদ নয়, যারা জোর করে নিজেদের পক্ষে রায় নিয়ে এসে, মেয়র হওয়ার আগেই মেয়রের চেয়ারে বসে, সিটি কর্পোরেশন দখল করে তাদের কাছে মানুষের মান সম্মান, জানমালের নিরাপদ নয়।
তিনি আরো বলেন, অনেকেই ভাবছেন আগামীতে অমুক দল আসবে, সেই আশায় গুড়েবালি। বাংলাদেশের ৩৮% নতুন ভোটার ধানের শীষ কি জিনিষ জানেই না। নতুন ভোটাররা জিয়াউর রহমানকে চেনেই না। জিয়াউর রহমানের আদর্শ এ দেশের মানুষ শুনতে চায় না। যখন এই নতুন ভোটারদের কাছে জিয়াউর রহমানের আদর্শ সম্পর্কে জানতে চাইবে, বিএনপির বর্তমান অবস্থা দেখে তারা বলবে, জিয়াউর রহমানের আদর্শ মানেই চাদাবাজি করা, খুন করা, দখল করা।
শায়খে চরমোনাই বলেন, আপনারা কি চান? কত রক্ত ঝরাবেন। আবু সাঈদ কতবার জন্ম নিবে। আমরা বলতে চাই, অবৈধ কোন সরকার বা ব্যক্তিকে ক্ষমতায় আনতে, চাঁদাবাজকে ক্ষমতায় আনতে এক বিন্দু রক্ত আর দিতে চাই না। ইসলামী আন্দোলন ছাড়া অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কথার সাথে মার্কা ও কাজের মিল নেই। কিন্তু ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কথার সাথে কাজের ও মার্কার মিল রয়েছে। এই দল ক্ষমতায় এলে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ক্ষমতায় আসলে, এমন পরিবেশ তৈরী হবে, যেখানে কেউ আর অবৈধ কোন কিছুর চিন্তাই করবে না। সবার মধ্যে ভালো কিছু করার ইচ্ছে তৈরী হবে। কিন্তু অন্য রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে নেতারাই গাঁজা তুলে দিবেন, অস্ত্র তুলে দিবেন যুবক সমাজের হাতে। কেননা তারা ক্ষমতা বোঝে আর কিছু বোঝে না।
এদিকে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য রংপুরের ৬ টি সংসদীয় আসনের জন্য ৫ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন, রংপুর-১ এ এটিএম গোলাম মোস্তফা বাবু, রংপুর- ২ এ মাওলানা মো: আশরাফ আলী, রংপুর-৩ এ আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-৪ এ জাহিদ হোসেন ও রংপুর -৫ এ অধ্যক্ষ গোলজার হোসেন। তবে রংপুর-৬ পীরগঞ্জ আসনের জন্য কোন প্রাথীর নাম ঘোষণা করেননি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগর শাখার সভাপতি আমিরুজ্জামান পিয়ালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দসহ জেলা ও মহানগারের নেতৃবৃন্দ।