× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

পরকীয়ার ছোবলে ভেঙে গেল সংসার, উধাও গৃহবধূ ও টাকা

আবির হোসেন,কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি।

২১ জুন ২০২৫, ১৭:৫৯ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

খুলনার কয়রা উপজেলার ৪নং কয়রা গ্রামের বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানার জীবনে নেমে এসেছে এক কঠিন অধ্যায়। ১৬ বছরের সুখের সংসার এক মুহূর্তেই ভেঙে যায়, স্ত্রীর পরকীয়ার ফাঁদে পড়ে। তার স্ত্রী উনজিলা খাতুন শুধু সংসার ভেঙে চলে যাননি, সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন মাসুদ রানার শেষ সম্বল নগদ দুই লাখ টাকাও।

২০০৯ সালের ২০ জুলাই সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার খুটিকাটা গ্রামের সাহেব আলী ঢালীর কন্যা উনজিলা খাতুনের সঙ্গে রেজিস্ট্রিকৃত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মাসুদ রানা। দাম্পত্য জীবনের প্রথম দশ বছর ছিল আনন্দে ভরপুর। ২০১২ সালে তাদের ঘর আলোকিত করে আসে প্রথম সন্তান মুক্তা (বর্তমানে বয়স ১২), পরে ২০১৮ সালে জন্ম নেয় ছোট মেয়ে ইভা সুলতানা মম (৭), যিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী। সবকিছু মিলিয়ে সংসার ছিল শান্তিপূর্ণ ও সুখের।

পেশায় একজন সফল মাছ ব্যবসায়ী মাসুদ রানা প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার লেনদেন করতেন, যার বেশিরভাগই নিজের স্ত্রী উনজিলার হেফাজতে রাখতেন। স্ত্রী যা চাইতেন, তা-ই পেতেন—অভাব ছিল না ভালোবাসা ও বিশ্বাসের।

কিন্তু হঠাৎ করে সেই সুখের সংসারে নেমে আসে কালো মেঘ। টিকটক ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন উনজিলা। স্বামীর বারবার নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তিনি ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করতে থাকেন। ধীরে ধীরে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে এক ২৫ বছর বয়সী যুবক সুমনের সঙ্গে। মাসের পর মাস চলে এই অনৈতিক সম্পর্ক।

সংসারে বিরক্তি ও অনিহা বাড়তে থাকে উনজিলার মধ্যে। প্রায়ই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করতেন, আচরণে আনতেন পরিবর্তন। একদিন রাতে স্বামীর পাশে ঘুমিয়ে পড়ার পর, ভোরে আলমারি থেকে তুলে নেন নগদ দুই লাখ টাকা এবং পালিয়ে যান সেই প্রেমিক সুমনের সঙ্গে।

পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উনজিলা খাতুন গোপনে সুমনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এবং মাসুদ রানার নামে একটি ভুয়া তালাকনামা পাঠান পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। তালাকনামাটিতে ছিল না কোনো বৈধ সিল, সাক্ষর বা নির্ভরযোগ্য সাক্ষীর স্বাক্ষর। একই ব্যক্তি চারটি জায়গায় সাক্ষর করে নোটিশটি তৈরি করেন—যার একটি মাসুদ রানার নামে, একটি মেয়ের নামে, একটি চেয়ারম্যান বরাবর এবং একটি অফিস কপির নামে দেখানো হয়।

তবে নোটিশটি ভুয়া হওয়ায় মাসুদ রানা কোর্টের শরণাপন্ন হন এবং কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখযোগ্যভাবে, এটাই প্রথম নয়। ২০২৪ সালেও আজহারুল নামে এক যুবকের সঙ্গে ইমুতে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন উনজিলা। তখনও সংসার টিকিয়ে রাখতে সব ভুলে গিয়েছিলেন মাসুদ রানা।

বর্তমানে দুই কন্যা সন্তানকে নিয়ে একাকী, অভাবগ্রস্ত জীবনযাপন করছেন মাসুদ রানা। স্ত্রী ও টাকা হারিয়ে মানসিক, অর্থনৈতিক ও পারিবারিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.