নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায় প্রায় এক দশক ধরে পারিবারিক সম্পত্তি ও দোকানঘর জোরপূর্বক দখল করে রাখার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছেও একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তুবা তাবাসসুম তালহা অভিযোগ করেছেন যে, তার বাবা মৃত মজির উদ্দিনের নামে থাকা দোকানঘর ও জমি গত ১০ বছর ধরে পূর্বধলার দেওটুকোণা গ্রামের তার চাচারা অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। তিনি জানান, এই সম্পত্তি তার মায়ের সাব-কাওলা দলিল মূলে বৈধভাবে কেনা হয়েছিল।
গত ৭ জুন তালহা এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাঁশের লাঠি হাতে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। অভিযুক্তদের বক্তব্য ছিল, "তুই অথবা তোর মা জমিতে গেলে জানে মেরে ফেলব।" এই ঘটনার পর তালহা এবং তার মা উভয়ই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, অভিযুক্ত মেহেদী হাসান বাবু ফেসবুকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখেছেন, ঈদের দিন ভাতিজি তালহা তাদের বাড়িতে এলে তারা যথেষ্ট স্নেহ করেছেন। তিনি আরও দাবি করেন যে, তালহা সামান্য 'মোজো' পানীয় নিয়ে পুলিশ ডেকে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছে। মেহেদী বাবুর ভাষ্যমতে, তাদের বাবা তালহাদের জন্য জমি লিখে দিয়েছেন এবং তারাই এখন 'নাটক' করছেন। তিনি আরও জানান যে, বৈঠকের কথা বলে থানার উপস্থিতি চাওয়া হলেও তালহারা নিজেরাই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিল এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে তাদের অপমান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, "আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমি স্থানীয় প্রশাসনের ডিসি, এসপির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।"
পূর্বধলা থানার উপ-পরিদর্শক মনিতোশ জানান, তারা থানায় অভিযোগটি পেয়েছেন, তবে এখনও আনুষ্ঠানিক মামলা হয়নি। তিনি আরও বলেন, তালহা প্রশাসনের উপস্থিতিতে তার চাচার সঙ্গে বসে সমাধান করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তার চাচা প্রশাসনের উপস্থিতিতে আলোচনায় বসতে রাজি নন। উপ-পরিদর্শক জানান, মামলা হলে তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন।