ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মাদ ফজলুল করীম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে আমরা আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বিএনপি'র শাসন দেখেছি। তাদের শাসনামলে অনিয়ম দুর্নীতি, টেন্ডার বাজি লুটপাট দখল বাজি ও অর্থ পাচারের মহোৎসব দেখেছি। গতফেসিষ্ট আমলে দেশ থেকে আটচল্লিশ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। ক্ষমতাসীনরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গড়েছেন অট্টালিকা ব্যাংক সমূহে জমিয়েছেন টাকার পাহাড়। আমরা এইসব দুর্নীতির শ্বেতপত্র দাবি করছি।
আওয়ামী লীগ ভারতের সাথে যে সমস্ত গোলামীর চুক্তি করেছে তা বাতিল করতে হবে। আমরা ভারতের দালালি মানবো না। সেই ভারতের সাথে আতাত করে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলে আওয়ামী লীগের মতো দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হবে।।
তিনি আরো বলেন, জুলাই আন্দলোনের যুদ্ধ শেষ হয় নেই, শুরু হয়েছে মাত্র। আমরা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নুতুন বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। দুর্নীতি বৈষম্য দূর করে একটি মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম। প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার বাস্তনায়ন করে মানুষের ভোটাধীকার ফিরিয়ে একটি নুতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম। কিন্তু একটা দল ভোটের জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তারা দখলবাজী,চাদাবাজী ও দলীয় কোন্দলের কারনে খুনাখুনি করছে। তাদের লুটপাটের কারনে জনগণ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সময় এসেছে সকল ইসলামী দল জোট বেধে বৈষম্যহীন, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার।
তিনি গতকাল শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে এক বিশাল জনসভা শেষে কুড়িগ্রামের ৪ টি আসনের ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীদের পরিচয় করে দিয়ে নাম ঘোষণা করেন।। কুড়িগ্রাম ১ আসনে আলহাজ্ব রাইসুল বারী রনি, কুড়িগ্রাম ২ আসনে আলহাজ্ব নুর বখত কুড়িগ্রাম ৩ আসনে সাবেক এমপি ডাক্তার আক্কাছ আলী ও কুড়িগ্রাম ৪ আসনে আলহাজ্ব হাফিজুর রহমান এর নাম ঘোষণা করে শ্লোগান তুলেন কথায় কাজে মিল পাই, হাত ফাঁকার চরমোনাই।
কুড়িগ্রাম জেলা ইসলামিক আন্দোলনের সভাপতি শাহজাহান মিয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামাতী ইসলামের পেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন,যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নুরে আলম সিদ্দিকী প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন ইসলামী আন্দোলন জেলার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাফিজু রহমান।