কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের গোবরগাড়া প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন মাহফুজা খাতুন (৪৬) হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলিম বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
রোববার (২২জুন২০২৫) সাকাল ৯:৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, এস আই সাধন কুমার মন্ডল, এ এস আই সাগর ও কনস্টেবল সোহেল ভ্যান চালকের ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলিম বিশ্বাসকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আলিম বিশ্বাস উপজেলার ১০ নং দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের গোবরগাড়া গ্রামের বশির বিশ্বাসের ছেলে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন (২৭এপ্রিল২০২৫) বেলা তিনটার দিকে মাহফুজা খাতুন গোবরগাড়া স্কুল সংলগ্ন পিছনের বাগানে পাতা কুড়াইতে গেলে জমি জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতা থাকার কারণে মাহফুজা খাতুন কে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে আলিম বিশ্বাস সহ তার লোকজন।
পরে স্থানীয় লোকজন মাহফুজা খাতুন এর ডাক চিৎকারে রক্তাক্ত যখম অবস্থায় মাহফুজা খাতুন কে উদ্ধার করে দৌলতপুর ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে ভর্তি করতে পরামর্শ দেন।
এরপরে মাহফুজা খাতুন কে ওই দিনেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে ভর্তি করা হলে পরের দিন (২৮এপ্রিল২০২৫) তারিখ সকাল ৯:০০ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় মৃতের ছেলে বাপ্পি হোসেন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় ৮জন সহ ও ২/৩ জনকে অজ্ঞতানামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী উপ-পরিদর্শক এস আই সাধন কুমার মন্ডল জানান, আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি মাহফুজা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামী আলিম বিশ্বাস হোগলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সোনাইকুন্ডি গ্রামে আত্মগোপন করে একটি জায়গায় অবস্থান করছে। তথ্যসূত্রে আরও জানা যায় উক্ত জায়গায় পুলিশের ইউনিফর্ম পরে গেলে আসামি আগে থেকেই পালিয়ে যাবে তাই তাকে ধরতে আমরা ভ্যান চালকের ছদ্মবেশ ধারণ করি এবং পরিশেষে তাকে গ্রেপ্তার করতে ও সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা জানান,দৌলতপুর থানা পুলিশের অভিযানে দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের মাহফুজা খাতুন হত্যা মামলার প্রধান আসামি আলিম বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।