চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ঝাঝরি গ্রামে পুকুরের মাছ চুরি ও বন্য প্রানী থেকে রক্ষার্থে পাতা ফাঁদে বৈদ্যুতিক তারে স্পৃষ্ট হয়ে চান মিয়া (২৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ রোববার (২২ জুন) দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
নিহত চান মিয়া ঝাঁঝরি মাঝের গ্রামের সাহেব আলীর ছেলে। তিনি পুকুরের পাশে ঘাস কাটার সময় বিদ্যুতায়িত বেড়ায় স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এর আগে, রোববার সকালে সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঁঝরি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ঘটনার পর অভিযুক্ত আব্বাস আলী পালিয়ে যায়। উত্তেজিত জনতা আব্বাস আলীর মুদি দোকানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়ে দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।
স্থানীয়রা জানান, কেরু এন্ড কোম্পানির পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন ঝাঁঝরি গ্রামের মাদক সম্রাট আব্বাস আলী। শিয়াল ও অন্যান্য বন্যপ্রাণীসহ মাছ চুরি ঠেকাতে তিনি পুকুরের চারপাশে জেআই তার দিয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেন। প্রায়ই সেখানে কুকুর, শিয়াল ও বিড়ালের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এলাকাবাসী বহুবার নিষেধ করা সত্ত্বেও তিনি ব্যবস্থা নেননি।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আব্বাস আলী শুধু মাছ চাষই নয়, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। তার বিরুদ্ধে ৪-৫টি মাদক মামলা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহতের পরিবার জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে আইনি অভিযোগ দেবে।
দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর বলেন, বৈদ্যুতিক পাতা ফাদে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযুক্ত আব্বাস আলীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।