সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ আইসোলেশন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পাঁচটি বেডসহ একটি পৃথক কক্ষকে করোনা রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আলতাব হোসেন।
তিনি জানান, “এখন পর্যন্ত আউটডোর ও ইনডোরে আসা কোনো রোগীর শরীরে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়নি। কিন্তু সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়ায় জনমনে অকারণে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।”
গতবারের করোনার ভয়াবহতা মাথায় রেখে পূর্ব প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুরো হাসপাতালে অক্সিজেন সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হয়েছে। আবারও সম্ভাব্য সংক্রমণের শঙ্কায় প্রস্তুতি জোরদার করা হচ্ছে।
ডা. আলতাব হোসেন বলেন, “যে ভ্যারিয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুলভাবে বলা হয়েছে একদিনে ৩ জন নয়, ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই।” তিনি আরও বলেন, “করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে হলে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। যাঁরা এখনও টিকা নেননি, তাঁদের দ্রুত টিকা গ্রহণ করা জরুরি।”
চট্টগ্রাম শহরে এপিক ডায়াগনস্টিক, এভা কেয়ার হাসপাতাল ও মা ও শিশু হাসপাতালে করোনা শনাক্তে টেস্ট কার্যক্রম চালু রয়েছে। সীতাকুণ্ড উপজেলা পর্যায়ে করোনা টেস্ট চালুর জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কিট সরবরাহের অপেক্ষায় রয়েছে কর্তৃপক্ষ।
টিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অধিকাংশ মানুষ ইতোমধ্যে টিকার আওতায় এসেছেন। টিকাবিহীনরা যেন দ্রুত টিকা গ্রহণ করেন, সেজন্য আমাদের পর্যাপ্ত টিকা মজুদ রয়েছে।”