জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন সহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের উপর ককটেল হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজশাহী নগরীর জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে জেলা ও মহানগর কমি
উক্ত সভাতে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক রাশেদুল ইসলাম, যুগ্ম সমন্বয়ক শামীমা সুলতানা মায়া, যুগ্ম সমন্বয়ক ফিরোজ, মহানগরর যুগ্ম সমন্বয়ক রবিন, মহানগর শ্রমিক উইংয়ের সংগঠক রুদ্র, এনসিপির মহানগর সদস্য উরশী মাহফিনা সহ উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী ও নাটোরের অন্যান্য সমন্বয়ক ও সদস্যরা।
বক্তারা বলেন, এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে দোষীদের গ্ৰেফতার করতে না পারলে আমরা আরো কঠোর অবস্থানে যাবো। যত দ্রুত সম্ভব এই ঘটনার সত্যতা বেড় করতে হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশে আমরা একটা সুষ্ঠু রাজনীতি ব্যবস্থা ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমদের রাজনীতির পথচলায় বাধা সৃষ্টির অসৎ অভিপ্রায়েই এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটানো হয়েছে।
এই হামলা কে বা কাহারা করেছে সেটা আমরা জানিনা। তবে যারাই করুক, এটা পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সংস্কার চাই, আমরা মানুষের সাথে থাকতে চাই। ৫ আগস্টের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়গুলোতে আমাদেরকে অনেক বিড়ম্বনার স্বীকার হতে হয়েছে, এখনো হচ্ছি। এইধরনের প্রতিহিংসামূলক ও ন্যাক্কারজনক কাজ না করে আমাদেরকে উৎসাহ দেয়া উচিত। সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। আমরা দেশ ও মানুষের কল্যাণে রাজনীতি শুরু করেছি।
দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের বিদায়ে যারা অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছ তাদের উপর ককটেল নিক্ষেপ কতটা নোংড়ামি সেটা ভাষায় বোঝানো সম্ভবনা। দেশের মানুষ যেনো প্রকৃত গণতন্ত্রের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে সেজন্য ছাত্ররা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গণঅভ্যূত্থানে সামনের কাতারে দাড়িয়ে আন্দোলন করেছি। অথচ সেই আন্দোলনকারিদের উপর ককটেল নিক্ষেপ শুধু ন্যাক্কারজনক ঘটনাই নয়; এটা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে চরম নোংড়ামি। এই ধরণের প্রতিহিংসা আর নোংড়ামি থেকে আমরা বেড়িয়ে আসতে চাই। আগস্টের যোদ্ধ দের উপর হামলা মানে দেশের আপামর জনগণের উপর হামলার সামিল।
দেশের জনগণের সহোযোগিতা নিয়ে এই দেশকে আমরা ভাল একটি অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই। পূর্ববর্তী সময়ে দেশে যে নোংড়া রাজনীতির চর্চা চলমান ছিলো সেখান থেকে আমরা বেড়িয়ে আসতে চাই। এটা পরিবর্তন হওয়াটা এখন সময়ের দাবি।