সূত্র মতে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আটক মমিন নিজ গ্রামসহ আশপাশের এলাকায় নিজেকে “আসমানী কিতাব ও ওহিপ্রাপ্ত নবী” হিসেবে প্রচার করে আসছিল। এতে ধর্মপ্রাণ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে আরও ক্ষোভ দেখা দেয়।
এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মমিন তার মুদি দোকানে বসে স্থানীয় এক সাংবাদিকের সঙ্গে কথোপকথনের সময় স্পষ্টভাবে বলেন— “আমি নবুওত পেয়েছি, আল্লাহ তায়ালা আমাকে বিশ্ববাসীর জন্য নবী হিসেবে প্রেরণ করেছেন।” এমন স্পর্ধিত ও ধর্মবিরোধী বক্তব্য সামাজিক, ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার প্রতি সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়।
ঘটনার পরপরই দেবীদ্বার থানা পুলিশ সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর আমরা তাৎক্ষণিকভাবে তাকে আ-ট-ক করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, তার মানসিক সুস্থতা যাচাই এবং উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় তদন্ত চলছে।
এমন ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার হলেও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মত এমন কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে আরও কঠোর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্বাস মতে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পর আর কোনো নবী আসবেন না এই বিশ্বাস ঈমানের মৌলিক অংশ। তাই ধর্মীয় অজ্ঞানতা ও গোঁড়ামিকে পুঁজি করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করাকে কেবল আইন নয়, সমাজ ও রাষ্ট্রের পক্ষ থেকেও দৃষ্টান্তমূলকভাবে মোকাবিলা করা প্রয়োজন।