সরকারি চাকুরীজীবি হিসাবে শিক্ষকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ নেই। সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালায় এ বিষয়ে সুষ্পষ্টভাবে বলা আছে। তারপরও কুলাউড়া উপজেলার তেলিবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রকাশ্যে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৮ জুন শনিবার কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। কাউন্সিলে সভাপতি পদে তেলিবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামছুল হক প্রকাশ্যে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তিনি চাকুরীর বিধিমালা লঙ্ঘন করে দলীয় সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে গত ২৩ জুন কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কায়েদ মিয়া। কায়েদ মিয়াসহ স্থানীয় অনেকেই জানান, সরকারি চাকুরীজীবি হয়ে কোনো অবস্থাতেই দলীয় কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া চাকুরীর আচরনবিধি লঙ্ঘন। একজন প্রধান শিক্ষক হয়ে এটি কোনো অবস্থাতেই হতে পারে না।
এব্যাপারে তেলিবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামছুল হক সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। আইনী বাধ্যবাধকতা আছে বলে জানা নেই।
কুলাউড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন ভূঁঞা বলেন, সরকারি শিক্ষক হিসাবে কখনোই দলীয় কার্যক্রম সম্পৃক্ত হতে পারেন না। এবিষয়ে আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি এবং তেলিবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শামছুল হককে সতর্ক করে দলীয় কার্যক্রম থেকে সরে আসার নির্দেশ দিয়েছি।
উল্লেখ্য, সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি-২৫ (১)-এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী কোনো রাজনৈতিক দলের বা তাদের অঙ্গসংগঠনের সদস্য হতে পারবেন না। রাজনৈতিক কর্মকান্ডে কোনোভাবে যুক্ত হতে বা কোনো প্রকারে অংশগ্রহণ বা সহযোগিতা করতে পারবেন না। বিধি-২৫ (৩)-এ বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মচারী আইন পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রচারণা অথবা অন্য কোনোভাবে হস্তক্ষেপ বা প্রভাব প্রয়োগ অথবা অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।।