ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনে সবার আগে যুব সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য, ঢাকা জেলার সেক্রেটারি ও ঢাকা-১৯ আসনের প্রার্থী মাওলানা মো. আফজাল হোসাইন।
২৫ জুন (বুধবার) রাতে সাভারের একটি মিলনায়তনে ঢাকা জেলার পেশাজীবী থানার উদ্যোগে সাংগাঠনিক ও বাইতুলমাল পক্ষ ২০২৫ উপলক্ষে ছাত্রশিবিরের সাবেক দায়িত্বশীলদের নিয়ে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
থানা আমীর আসাদুজ্জামান জীম এর সভাপতিত্বে এবং এডভোকেট রাশেদ কামাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থানার সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মো. সোহেল রানা ও পেশাজীবী থানার সহকারী সেক্রেটারি মো. শরিফুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
মাওলানা আফজাল হোসাইন বলেন, ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে তরুণ-যুবকদের এগিয়ে আসতে হবে। জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দলমত, ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। ইসলামের বিজয়ের জন্য ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। প্রতিটি মহল্লায় মানুষকে ইসলামী নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে হবে। আমাদের জাতির সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো সৎ নেতৃত্বের সংকট। রাষ্ট্রের সরকার যদি সৎ ও আল্লাহ্ভিরু হয় তাহলে কারও অধিকার হরণ করবে না, লুটপাট হবে না, অন্যায়ভাবে কেউ কারও সম্পদ নষ্ট করবে না। এভাবেই সমাজে শুধু শান্তি বিরাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ইমদাদুল হক বলেন, জনগনের মাঝে তাওহীদ, রেসালাত ও আখেরাতের দাওয়াত তুলে ধরতে হবে। পরকালীন জীবন সম্পর্কে মানুষের মাঝে উপলব্ধি সৃষ্টি করতে হবে। এই জীবন ক্ষনস্থায়ী, সেটা বোঝাতে হবে। নিজেরাও বেশি বেশি আমল করতে হবে এবং দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজ করে যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও পেশাজীবী থানার আমীর আসাদুজ্জামান জীম বলেন, আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে ইসলামী সমাজ বিনির্মানে সাবেক ভাইদের আরও অগ্রসর হতে হবে। ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। প্রত্যেক পাড়া মহল্লায় সকলের কাছে সংগঠনের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
সমাবেশে থানার কর্মপরিষদ সদস্য মোখলেছুর রহমান, রাইসুল ইসলাম, কামাল উদ্দিন, ওয়ার্ড সভাপতি আলী মাহমুদ সবুজ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, নিশাত জামান, আমিরুল ইসলামসহ থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্তরের দায়িত্বশীল ও জনশক্তি উপস্থিত ছিলেন।