চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানিকে ইজারা প্রদান, মিয়ানমারে করিডোর প্রদানসহ বিদেশি কর্পোরেটদের সাথে অসম চুক্তির উদ্যোগ বাতিলের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দেশপ্রেমিক জনগণের আহবানে দুইদিনব্যাপী ঢাকা-চট্রগ্রাম রোডমার্চের দ্বিতীয় দিন শনিবার শুরু হয় ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সম্মুখে সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ( মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক মাসুদ রানা, ফ্যাসিবাদবিরোধী বামমোর্চার সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন নসু, বিপ্লবী গণতান্ত্রিক পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু সহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, "এ সরকারের দায়িত্ব ছিল জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও রাষ্ট্রের সংস্কারের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং নির্বাচন সংঘটিত করা। কিন্তু সে রাস্তায় না হেঁটে সরকার একের পর এক বৈদেশিক বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরের উদ্যোগ নিচ্ছে। এই চুক্তিগুলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের উপর হুমকি ও দীর্ঘ মেয়াদে দেশের জন্য ক্ষতিকর।
নির্বাচিত সংসদে আলোচনার মাধ্যমে এ সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। অন্তর্বর্তী সরকার এ ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরের এখতিয়ার রাখেন না। এসকল ক্ষেত্রে সরকারের একটা বেপরোয়া ভাব আমরা লক্ষ্য করছি। অথচ জুলাই হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিতে এখনো কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি নেই।
রোডমার্চ শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে৷ ফেনী থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে বারইয়ারপুর ও সীতাকুণ্ডে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।