ছবি: সংগৃহীত
২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের আত্মত্যাগ যেন অমূল্য না হয়। এটাই এখন দেশের চিকিৎসা ও প্রশাসনিক অঙ্গনের অন্যতম দায় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) উপাচার্য ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
তারা বলছেন, বাংলাদেশে একটি কার্যকর গণতন্ত্র, মানবিক চিকিৎসাব্যবস্থা এবং দক্ষ চিকিৎসক গড়ে তুলতে পারলেই সেই আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান মাস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বিএমইউ আয়োজিত র্যালি, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শেষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই আমাদের ইতিহাসের এক মোড় ঘোরানো সময়। চারদিকেই তখন ভয়, অনিশ্চয়তা, দমন-পীড়নের রাজত্ব। হাসপাতাল থেকে গণমাধ্যম সবখানেই একটা অদৃশ্য সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মুহূর্তে ছাত্র-জনতার ঐক্য, সাহসিকতা এবং আত্মত্যাগ এদেশে নতুন পথ দেখিয়েছে।”
তিনি বলেন, আমরা যারা আজ প্রশাসনে আছি, যারা শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দিচ্ছি, তাদের দায়িত্ব অনেক বেশি। উন্নতমানের চিকিৎসাসেবা, দক্ষ চিকিৎসক তৈরির মধ্য দিয়েই আমাদের সেই সংগ্রামের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করতে হবে। বিএমইউ’কে শুধুই চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নয়, গণতন্ত্র, মানবতা ও আত্মত্যাগের এক জীবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই শহীদদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিগত সরকার বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিল, ছাত্র-জনতার ন্যায্য আন্দোলনে পৈশাচিক হামলা চালিয়েছিল। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই পতন ঘটেছে সেই সরকারে। এখন এই ঐক্য ধরে রাখতে না পারলে ফ্যাসিস্ট শক্তি আবার ঘুরে দাঁড়াবে।
আরেক উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ছাত্রজনতা বুলেটের মুখে দাঁড়িয়ে জীবন দিয়ে যে পথ খুলেছে, আমরা আজ সেই পথেই এগিয়ে চলেছি। এখন আমাদের কাজ—আধুনিক ও মানবিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিশ্চিত করে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার বলেন, এই আন্দোলনের কারণেই আমরা আজ বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত। আমাদের দায়িত্ব এখনআহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং জনগণের জন্য কাজ করা। তাহলেই এই আত্মত্যাগ অর্থবহ হবে।
জুলাই মাসজুড়ে বিএমইউ যে কর্মসূচিগুলো হাতে নিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে: শহীদ দিবস উপলক্ষ্যে ডকুমেন্টারি ও স্থিরচিত্র প্রদর্শনী, রক্তদান ও স্ক্রিনিং ক্যাম্প, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বহির্বিভাগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার, কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও শহীদ স্মরণ অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমীন, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. ইকবাল মাহমুদ রনি, ডা. সাখাওয়াত হোসেন, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার শফিকুল হাসান রতন, অতিরিক্ত পরিচালক নাছির উদ্দিন ভূঁইয়া ও মো. বদরুল হুদা, উপাচার্য ও প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরদের একান্ত সচিবসহ শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh