পাবনা ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইসলামপাড়া বালুঘাটে কাকন ও শহিদুল মোল্লার লোকজনের হামলা ভাংচুর, লুটপাটসহ অস্ত্রের মহড়ার ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে আমাকে রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপূর্ন করতে কতিপয় সংবাদ মাধ্যম ও টেলিভিশন ধারাবাহিকভাবে মিথ্যাচার করে সংবাদ প্রকাশ করছে।
এসব সংবাদ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে স্বস্ব মিডিয়াগুলো নিজ উদ্যোগে প্রত্যাহারসহ সংশোধনী প্রকাশ না করলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছেন পাবনা জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং ঈশ্বরদী –আটঘরিয়া আসনে (পাবনা-৪) সংসদ মনোনয়ন প্রত্যাশী জাকারিয়া পিন্টু।
মঙ্গলবার(১জুলাই) দুপুরে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া পিন্টু এই আল্টিমেটাম প্রদান করেন।
বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু বলেন, পদ্মানদীর লালপুরের দিয়ার বাহাদুরপুর ও সাঁড়া বালু ঘাটের সঙ্গে আমার কোন ব্যবসা নেই। পদ্মানদীর বালুর সঙ্গে আমার কোনই সম্পর্ক নেই। পদ্মানদীর ঈশ্বরদী সীমানায় বালু উত্তোলনের
অনুমোদন রয়েছে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনির। আর সাঁড়া বালুঘাটের তড়িয়া মহলের বৈধ ইজারদার মেহেদী হাসানসহ তার পার্টনাররা। গত ৫ জুন/২৫ কাকন ও শহিদুল সশস্ত্র লোকজন নিয়ে সাঁড়ার ইসলামপাড়া বালুঘাটে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, গুলিবর্ষণ ও লুটপাট করে। তাদের এই হামলার ঘটনাটি সাঁড়াঘাটে থাকা সিসি টিভি ফুজেটে ধরা পড়ে। পরবর্তিতে তাদের হামলার বিষয়টি নিয়ে একাধিক মিডিয়া সত্য সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করে। সেই একই ভিডিও ফুটেজ দিয়ে কাকন ও শহিদুল মোল্লার পক্ষে স্থানীয় কতিপয় গণমাধ্যম কর্মী তাদের মিডিয়া হাউজগুলোতে ওইসব সশস্ত্র লোকগুলোকে আমার ও আমি নিজে বলে প্রচার করা হয়েছে।
জাকারিয়া পিন্টু দাবী করে বলেন, আমি আগামী সংসদ নির্বাচনে ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া আসনে বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশি। এই কারণে আমার নিজ দল বিএনপির স্থানীয় কিছু ব্যক্তি আমাকে হেয় করতে আওয়ামীলীগের কাকন ও শহিদুলের সঙ্গে আতাঁত করে লালপুর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করিয়েছে। মামলায় আমাকে ও আমার ছোট ভাই মেহেদী সহ ৯ জনকে আসামী করা হয়েছে। এই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহার এবং যেসব প্রিন্ট মিডিয়া ও টেলিভিশনগুলো আমার বিরুদ্ধে একপেশে সংবাদ প্রকাশ করেছে, সেগুলো স্ব উদ্যোগে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহারসহ সংশোধনী প্রচার ও প্রকাশ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন, ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এসএম ফজলুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন সুমার খান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ন কবির দুলাল, আব্দুর রাজ্জাক, ইসলাম হোসেন জুয়েল, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান স্বপন, শামসুজ্জোহা পিপ্পু, আক্কাস আলী মেম্বার, সুলতান আলী বিশ্বাস টনি, নূরে আলম শ্যামল, আবু সাইদ লিটন, আনোয়ার হোসেন জুয়েল প্রমুখ।