চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও মিরসরাইয়ের বিভিন্ন বনাঞ্চলে পরিচালিত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী ও উপ-প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দিনব্যাপী এই সফরে তারা চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ, আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণমূলক কার্যক্রম ঘুরে দেখেন এবং চলমান কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
সফরের শুরুতে কর্মকর্তারা করেরহাট রেঞ্জের সদর বিট এলাকায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরিচালন ব্যয় খাতে সৃজিত ২০ হেক্টর স্বল্পমেয়াদী মিশ্র দেশি প্রজাতির বন বাগান পরিদর্শন করেন। এ সময় গাছের বৃদ্ধি, বাগান ব্যবস্থাপনা, প্রজাতি নির্বাচনসহ সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করেন তারা। কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট বন কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীলতা ও উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পরবর্তীতে তারা মিরসরাই রেঞ্জের মহামায়া ইকো পার্ক পরিদর্শন করেন। পার্কে সদ্য সমাপ্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর আওতায় পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো, পর্যটকদের জন্য সুবিধা বৃদ্ধি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিকগুলো মূল্যায়ন করেন তারা।
সফরের শেষ পর্যায়ে প্রধান বন সংরক্ষক দল সীতাকুণ্ড বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো পার্কে যান। সেখানে চলমান উন্নয়ন কাজ, পরিকল্পিত নগরায়ন, ইকো-ট্যুরিজম সম্ভাবনা এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় গৃহীত উদ্যোগ ঘুরে দেখেন।
পরিদর্শন শেষে প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী বলেন, “বনায়ন কার্যক্রমের গুণগত মান, সময়োপযোগী পরিকল্পনা ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে উত্তর বন বিভাগের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। ভবিষ্যতে আরও টেকসই ও পরিবেশসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানাই।”
সফরকালে প্রধান বন সংরক্ষকের সঙ্গে ছিলেন: ড. মোল্ল্যা রেজাউল করিম, বন সংরক্ষক, চট্টগ্রাম অঞ্চল, এস এম কায়চার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগ, মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, সহকারী বন সংরক্ষক, করেরহাট এবং করেরহাট ও সীতাকুণ্ড রেঞ্জের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
উল্লেখ্য, বন অধিদপ্তর পরিবেশবান্ধব ও জলবায়ু সহনশীল টেকসই বনায়ন নিশ্চিত করতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।