চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ওষখাইন রজায়ী দরবার শরীফে পবিত্র শোহাদায়ে কারবালা স্মরণে এক হৃদয়ছোঁয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাহফিলে বক্তারা বলেন, কারবালা প্রান্তরে আহলে বায়তে রাসূল (দ.)-এর নিষ্পাপ শিশু ও নারীরাও প্রচণ্ড ক্ষুধা ও পিপাসার মাঝে থেকেও ধৈর্য হারাননি। তাঁরা ত্যাগ, ধৈর্য ও সত্যের পথে অবিচল থেকে ইসলাম রক্ষার এক মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বক্তারা আরও বলেন, শোহাদায়ে কারবালার শিক্ষা হলো প্রতিকূলতার মাঝেও দ্বীনের ওপর অটল থাকা, ধৈর্য ধারণ করা এবং সকল বিপদে আল্লাহর ওপর পূর্ণ ভরসা রাখা। কারবালার ঘটনা মুসলমানদের শেখায় কীভাবে সবর, ত্যাগ ও ঈমানের শক্তিতে সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে হয়। ২ জুলাই (বুধবার) রজায়ী বিশ্ব নূর মঞ্জিলের শাহী ময়দানে অনুষ্ঠিত এই মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন অত্র দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন, পীরে ত্বরিকত আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ উল্লাহ রজায়ী (রজায়ী হুজুর)। মাহফিল সঞ্চালনা করেন শাহজাদা ইমাম উদ্দিন রজায়ী।
মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন আল্লামা আবুল কাসেম নূরী। প্রধান বক্তা ছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দীন আত-ত্বাহেরী। বিশেষ বক্তা ছিলেন আল্লামা মুফতি আহমদ হোসাইন আল কাদেরী, মাওলানা কামরুদ্দীন নূরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পীরজাদা মাওলানা নাঈম উদ্দীন রজায়ী।
বক্তারা বলেন, হযরত ইমাম হোসাইন (রা.)-এর নেতৃত্বে আহলে বায়তের সদস্যরা যে আত্মত্যাগ ও ঈমানি দৃঢ়তা দেখিয়েছেন, তা ইসলামি ইতিহাসের এক অমর অধ্যায়। কারবালার শিক্ষা শুধু স্মরণ করার নয়, বরং তা জীবনের প্রতিটি সংকটে কাজে লাগাতে হবে।