বান্দরবানের রুমা দুর্গম পাহাড়ে নিরাপত্তা বাহিনী সাথে কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মির বন্দুক যুদ্ধে কেএনএফের কমান্ডারসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে সন্দেহভাজন হিসেবে কেএনএফ এক সদস্য আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে পাইন্দু ইউনিয়নে পলি প্রাংসা ও মুয়ালপি পাড়ার মাঝামাঝি ১৬ কিলোমিটার দূরে তাইদং ঝিড়ি এলাকায় নাইতং পাহাড়ের উপর এই ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় পাড়াবাসী ও উপজেলার সংবাদকর্মীরা জানিয়েছেন, গতকাল রাতে মুয়ালপি পাড়ার মাঝামাঝি ১৬ কিলোমিটার দূরে কেএনএফ আস্তানায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা। ভোর সকালে গহীন পাহাড়ের চারটি রাউন্ডে বিকট শব্দে গুলির আওয়ার শুনতে পান ওই এলাকার বসবাসরত মানুষ। সেসময় গহীন বনাঞ্চলের তাইদাং আগা ঝিড়ি এলাকায় নাইতং পাহাড়ের উপর নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের ব্যাপক গুলাগুলি শুরু হয়। টানা বন্দুক যুদ্ধে কেএনএ কমান্ডারসহ দুজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরে সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কেএনএ আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩টি এসএমজি, ১টি রাইফেল অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম।
নিরাপত্তা বাহিনীরা জানিয়েছেন, সন্ত্রাস বিরোধী কেএনএ আস্তানায় অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন ১৬ই, ৩৬ ও ৩৭বীর বেঙ্গলের ইউনিটের নিরাপত্তার টিম। এই তিন বেঙ্গলের সাড়াশি অভিযানে কেএনএ কমান্ডারাসহ দুজন নিহত ও তাদের আস্তানা ধ্বসের পাশাপাশি তাদের ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সন্ধায় রুমা জোনের মাল্টিপারপাস শেডের কেএনএ আস্তানা থেকে উদ্ধারকৃত ৩টি এসএমজি অস্ত্র, ১টি রাইফেল, ৮টি ম্যাগজিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উপস্থাপন করা হয়। পরে অভিযানের বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন রুমা জোনের কমান্ডার লে: কর্ণেল আলমগীর হোসেন।
রুমা জোনের কমান্ডার লে: কর্ণেল আলমগীর হোসেন বলেন, আমাদের অভিযান শুধুমাত্র পার্বত্যঞ্চল সশস্ত্র দল বিরুদ্ধে। যারা স্থানীয় নাগরিক আছেন তাদের প্রতি সেনাবাহিনীর শ্রদ্ধা ও সহানুভূতি রয়েছে। তাদের জানমালে নিরাপত্তায় রক্ষার্থে সেনাবাহিনী বদ্ধপরিকর।
ভবিষ্যতে পর্যটনে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হবে কীনা সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কেএনএফ যেখানে অবস্থান রয়েছে সেটি পর্যটন এড়িয়া থেকে অনেক দূরে। তাই পর্যটন শিল্পে কোন প্রভাব পড়বে না বলে আশাব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সাড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।