রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর স্কুল বাজার এলাকায় কুষ্টিয়া-প্রাগপুর মহাসড়ক অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে নিহতের পরিবার ও স্থানীয় এলাকাবাসী এ কর্মসূচির করেন।
মানববন্ধনে ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্থানীয় শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
এর আগে, বুধবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মথুরাপুর স্কুল বাজার এলাকায় অতিরিক্ত অর্থ আদায় সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্থানীয় যুবক পলাশের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন আব্দুল আজিজ। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ২-৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে দৌলতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যাকাণ্ডের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার আসামিদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম ওরফে মাহাবুল মাস্টার (৫২) কে গ্রেপ্তার করে। বাকিরা পলাতক রয়েছে।
নিহত আব্দুল আজিজ স্থানীয় খেলাফত উদ্দীনের ছেলে এবং বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মামলায় অভিযুক্তরাও একই দলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।
মানববন্ধনে বক্তারা দ্রুত বিচার ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। নিহতের স্ত্রী রুবিনা খাতুন বলেন, “আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। আমার ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমি চরম অসহায় অবস্থায় আছি।”
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আক্তারুজ্জামান লিটন বলেন, “আমরা এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে কাজ চলছে। মাহাবুল ছাড়া অন্য কেউ এখনো গ্রেপ্তার হয়নি, তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
ছবি : সংবাদ সারাবেলা